বেশিরভাগ মানুষের মুখেই শোনা যায় পেটের চর্বি কিছুতেই কমছে না। হাজারো এক্সারসাইজ এমনকি ডায়েটের প্যাঁচে জড়িয়েও কোনও সমাধান নেই! তথাকথিত ভুঁড়ি কিছুতেই কমছে না। এমতাবস্থায় মন খারাপ হওয়া খুব স্বাভাবিক। কিন্তু আপনি কি জানেন এটি হরমোনাল সমস্যা হতে পারে?
এই প্রসঙ্গেই বিশেষজ্ঞরা বলেন, অনেক সময় খাবারের গাফিলতি, ক্ষুধা এমনকি বিপাক, অত্যধিক চাপ হরমোনাল বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারে। যার কারণেই শরীরের নির্দিষ্ট এই অংশ অর্থাৎ পেট থেকে কোনোভাবেই মেদ কম হওয়ার লক্ষণ থাকে না। এমনকি হরমোনের হ্রাস বৃদ্ধির কারণেও নানান ঘাটতি সৃষ্টি হতে পারে এবং তার থেকেও পেট ফুলে ওঠার সম্ভবনা থাকে এটিকে হরমোনাল বেলি বলা হয়।
থাইরয়েড, পলিসিস্টিক ওভারি এবং মেনোপোজ জাতীয় সমস্যা এবং শারীরিক অবস্থার কারণে এই ধরনের হরমোনাল পরিবর্তন কিংবা ঘাটতি হতে পারে। ফলত পেটের চারিদিকে একটি গোলাকৃতি ফাঁপা ভাব সৃষ্টি হয় এবং আপনার মনে হয় এটি অতিরিক্ত চর্বির ফলস্বরূপ। অনেক সময় নানান ধরনের ওষুধ সেবনের কারণেও এই সমস্যা হতে পারে। যে বিষয়গুলিতে দৃষ্টি নিক্ষেপ করলে ভাল,
• খাবার খাওয়ার পরেও এই সমস্যা থাকলে তৃপ্তি বোধ হবে না আপনার। কারণ সাপেক্ষে বলা যায় যৌণ হরমোনগুলো এই সকল হরমোনকে প্রভাবিত করে এবং বিপাক নিয়ন্ত্রনে সহায়তা করে। কম মাত্রায় ইস্ট্রোজেন ক্ষুধামন্দা জাতীয় অসুবিধের সৃষ্টি করে। সেই কারণেই লেপটিনে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কম বেশি হলে সেটি শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর।
• অত্যধিক মানসিক চাপও কিন্তু বেশ সমস্যাজনিত। কারণবশত অ্যাড্রেনালিন গ্রন্থি থেকে সহজেই আপনি প্রতিক্রিয়া পেতে পারেন। তাই মানসিক চাপে থাকলে আপনার শরীরে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি কর্টিসল উৎপন্ন হয় যার থেকে উচ্চ হৃদস্পন্দন, উচ্চ রক্তচাপ এমনকি সুগার লেভেল বেড়ে যায়। এর কারণেই পেটের অতিরিক্ত চর্বি বৃদ্ধি পায়।
• চেষ্টা করবেন তলপেটে যেন কোনোভাবেই মেদ না জমে। অতিরিক্ত ব্যায়াম, সঠিকভাবে না খাওয়া এবং পিটুইটারি গ্রন্থির সমস্যার কারণে ইস্ট্রোজেনের মাত্রায় হেরফের হয়। তখনই পেটের চারিদিকে ওজন বাড়তে থাকে।
• পিরিয়ড সম্পর্কিত ক্ষেত্রে অনেক সময়ই ঋতুচক্রের গন্ডগোল হয় এবং এটি থেকেই ফ্লুইড জাতীয় পদার্থ থেকে তলপেটে ফুসকুড়ি ন্যায় সমস্যা দেখা দিতে পারে যার কারণেই বেলি ফ্যাট বাড়তে পারে। তাই প্রয়োজনে গাইনোকলজিস্ট এর পরামর্শ নিন।
• এর আরেকটি অন্যতম কারণ আপনার দেহে ঘুমের অভাব! নিশ্চই এর পরিমান কম। সঠিক ভাবে ঘুমানোর খুব দরকার। রাত করে না ঘুমিয়ে সঠিক সময়ে ঘুমনোর অভ্যাস করুন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন