বহু পুরনো দিনের মানুষদের জিজ্ঞেস করলে জানা যাবে আদতেই তারা শাক সবজি খাওয়াতে বিশ্বাসী। এবং প্রতিনিয়ত সবুজ শাক পাতা থেকে মানবদেহে নানান ধরনের ভিটামিন, মিনারেলস এগুলি সঠিক মাত্রায় পৌঁছায় এই নিয়ে একেবারেই সন্দেহ নেই। এবং তার সঙ্গেই কিন্তু রয়েছে আরও বেশ কিছু খাবার। তার মধ্যে নানান ধরনের মূল, কান্ড এবং ফলের বীজ, সবজির বীজ এগুলি বেশ কার্যকরী। এসবের মধ্যেই কুমড়োর বীজ কিন্তু আপনার ডায়েটে থাকা একেবারেই মাস্ট! কেন?
বিশেষজ্ঞ অরবিন্দ রাজাপেট বলছেন সমস্ত পুষ্টিকর খাবারের মধ্যে কুমড়োর বীজ কিন্তু অন্যতম। এবং এটি ভীষণ মাত্রায় নিউট্রিশন সমৃদ্ধ, বিশেষ করে মহিলাদের শরীর তথা স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে সুপারফুড হিসেবে আখ্যা পেয়েছে। দেখতে ডিম্বাকৃতি, সাদা রঙের এই বীজ নানানভাবে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তিনি আরও বলেন বহু প্রাচীনকাল থেকে গ্রীক এবং লাতিন আমেরিকার মানুষজন একে উদ্ভিজ ভেষজ হিসেবে ব্যবহার করত।
বেশিরভাগ মানুষই নয় বীজ রান্নার কাজে নয় হালকা ভেজে নিয়ে গুড়ো হিসেবে খেতেই পছন্দ করেন। এবং তার থেকেও বড় কথা কুমড়োর বীজের কিন্তু অনেক ধরনের গুণ রয়েছে যেগুলি না বললেই নয়।
এটি ভীষণ ভাবে পিসিওএস এর মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এমনিতেও ডায়েটের কারণে শরীরে অনেকরকম গোলমাল দেখা দিতে পারে, তবে কুমড়োর বীজ হরমোনাল স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে বেশ কার্যকরী।
কুমড়োর বীজ গুড়ো করে জল মিশিয়ে খেলে ভীষণ চুল পড়া বন্ধ হয়।
এতে প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড ভীষণ মাত্রায় থাকে যেটি শরীরের পক্ষে উপকারী।
যদি অত্যধিক মাত্রায় কোলেস্টেরল থাকে তবে কুমড়োর বীজ আপনার চূড়ান্ত কাজে আসতে পারে।
শরীরে ম্যাগনেসিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি করতে এটি বেশ দারুণ একটি উৎস।
নারীদেহে মেনোপজের পর অস্তেওপরসিস এর ঝুঁকি কমাতে খুব ভাল কাজ দেয়।
ঠিক কী কী ভাবে একে খাওয়া যায়?
হালকা ভেজে নিয়ে গুঁড়ো করে এটিকে এমনিই খাওয়া যায়। আবার নানান রকমের স্যালাড হোক অথবা স্যুপ তাতেও আপনি কাঁচা অবস্থাতেই খেতে পারেন। আবার ভাল করে স্মুদি তৈরি করেও খাওয়া যায়। ইচ্ছে হলে ওটস এর সঙ্গেই এটি খেতে পারেন। যেমন আপনার ভাল লাগে। তবে আজ থেকে বাড়িতে কুমড়ো এলে এর বীজ একেবারেই ফেলে দেবেন না।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন