শহর কলকাতায় যে মন্দিরগুলো অত্যন্ত জাগ্রত বলে ভক্তরা মনে করেন, তার অন্যতম হল ভূতনাথ মন্দির। প্রতি শ্রাবণ এবং চৈত্রমাসে এই মন্দিরে ভক্তদের ব্যাপক ভিড় হয়। এছাড়া সারাবছরই নানা মনস্কামনা জানাতে এই মন্দিরে ভিড় করেন ভক্তরা। এই মন্দির রয়েছে কলকাতার নিমতলা এলাকায়।
ইদানিং, শহর কলকাতায় ট্রেনে বা বাসে যাঁরা যাতায়াত করেন, হয়তো দেখবেন সহযাত্রীর কপালে দক্ষিণ ভারতীয় পুরোহিতদের ঢঙে তিলক আঁকা। তখনই নিঃসন্দেহে ধরে নিতে পারেন, ওই সহযাত্রী ভূতনাথ মন্দির দর্শনে গিয়েছিলেন। এই মন্দিরে কপালে এধরনের তিলক আঁকান অনেক ভক্তই। যাঁরা সেই তিলক এঁকে দেন, বিনিময়ে তাঁরা সামান্য কিছু অর্থ রোজগার করেন।
মন্দিরের কাছেই ঘটে করে জল, মালা, ফুলও বিক্রি হয়। একেবারে তারকেশ্বর মন্দিরের কায়দায়। ভক্তদের মধ্যে বাঙালিদের পাশাপাশি, অবাঙালি ভক্তদের ভিড়ও যথেষ্ট। পাশাপাশি, বোতলবন্দি গঙ্গাজলও এখানে বিক্রি হয়। শ্রাবণের সোমবারগুলোয় এই মন্দিরে ভিড় হয় যে সারারাত ধরে ভক্তরা যাতায়াত করেন। শিবের মাথায় জল ঢালেন আর পুজো দেন।
কাছেই নিমতলা মহাশ্মশান। ভক্তদের বিশ্বাস, ভূতনাথ মহাদেব, গায়ে শ্মশানের ছাই ও ভস্ম মেখে ঘুরে বেড়ান শশ্মান চত্বর ও এই মন্দিরে। মন্দিরের উলটো দিক দিয়ে চলে গিয়েছে চক্ররেলের লাইন। ভিড় নিয়ন্ত্রণে এখানে নিরাপত্তার ব্যাপক বন্দোবস্ত থাকে। পাশে রয়েছে হনুমানের মন্দিরও। যাঁরা ভূতনাথ মন্দির দর্শন করেন, সেই ভক্তদের অনেকে আবার পাশের হনুমান মন্দিরেও পুজো দেন।
আরও পড়ুন- লক্ষ্য বিপদে মুক্তি অথবা মনস্কামনা পূরণ, ভক্তরা ছুটে আসেন এই মোটা শিবের মন্দিরে
এখানে গঙ্গার ঘাট থেকে হাওড়ার সালকিয়ার নতুন শিব মন্দির স্পষ্ট দেখা যায়। ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য মন্দিরের সামনে ব্যারিকেড করে দেয় প্রশাসন। রাখা হয় আলাদা প্রবেশ ও প্রস্থান পথ। ভিড় থাকায় ভক্তদের বেশিক্ষণ একজায়গায় দাঁড়াতে দেওয়া হয় না। রয়েছে জুতো জমা রাখার স্থানও। শহর কলকাতার বিভিন্ন এলাকা তো বটেই, জেলাগুলো থেকেও এখানে পুজো দেওয়ার জন্য ভক্তরা ভিড় জমানা। এমনকী, আসেন ভিড় রাজ্যের ভক্তরাও।