প্রত্যেকটা বাড়িতে বাচ্চাদের খাওয়া দাওয়ার পেছনে মায়েদের যেন শান্তি নেই। এটা খাবে না তো ওটাই বায়না। আর কেউ কেউ তো আবার খাবারের নামেই কান্না শুরু দেয়। বিন্দুমাত্র খিদে না থাকা কিন্তু আপনার বাচ্চার পক্ষে ক্ষতিকারক হতে পারে। ওদের দৈহিক বিকাশ যেমন হবে না, বুদ্ধিতেও পিছিয়ে পড়বে। তাই সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নতিতে সঠিক ভাবে খাবার খাওয়া খুব প্রয়োজন। খিদে বাড়ানোও অবশ্যই দরকার। সারাদিনে ঠিক ঠিক সময়ে খাবার না খেলে মুশকিল।
ওদের বেড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে শেখার সুযোগ থাকে অনেক বেশি। চট করেই কোনও কিছু দেখে শিখে নেওয়ার মত ক্ষমতা থাকে ওদের। কিন্তু প্রয়োজনীয় পুষ্টি, ভিটামিন, মিনারেলস এবং অন্যান্য নিউট্রিশন যদি শরীরে না যায় তাহলে সকলের থেকে কিন্তু একেবারেই পিছিয়ে যাবে। তবে এরমধ্যে রয়েছে একটি দ্বন্দ্ব।
পুষ্টিবিদ ডা নীতিকা কোহলি বলেন, অনেক বাচ্চা আছে যারা একেবারেই খেতে চায় না, আবার অনেকে আছে হঠাৎ করেই খাওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। আপনার শিশুটির দিকে কিন্তু আপনাকে লক্ষ্য করতে হবে। নানান কারণে খিদের ইচ্ছে চলে যেতে পারে, সেটি বুঝতে হবে। তবে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই, এটির থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। বেশ কিছু টিপস মেনে চললেই ওর বেড়ে ওঠার পথে আর যাই হোক, খাবার অন্তত বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে না। তার মধ্যে ;
প্রথম, সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই আগে জল খেতে হবে এক গ্লাস। এমনকি দুধ পর্যন্ত খাওয়াবেন না। প্রথমেই জল। এছাড়াও দুপুর বেলা এবং রাত্রিবেলা খাবার খাওয়ার অন্তত ঘন্টাখানেক আগে জল খাওয়ান, এর মাঝে আর নয়।
দ্বিতীয়, দুপুরবেলা খাওয়ার পর এক কুচি আদা এবং অল্প একটু সৈন্ধব লবণ মিশিয়ে চিবিয়ে খাওয়ানো অভ্যাস করান। এতে হজম ক্ষমতা বাড়ে এবং খিদে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
তৃতীয়, খাবার খাওয়ার সময় আপনার বাচ্চার সামনে কঠিন কোনও পরিস্থিতি সৃষ্টি করবেন না। এমন কিছু বলবেন না যাতে ওদের মানসিক স্বাস্থ্য ভেঙে পড়তে থাকে। জোড়ে কথা বলা, কিংবা ঝামেলা এগুলি দূরেই রাখবেন।
চতুর্থ, নির্দিষ্ট একটি সময়েই আপনার বাচ্চাকে খেতে বসতে দিন। এতে সময়ের গুরুত্ব এবং শরীরের পুষ্টি সব ঠিক থাকে। দেখা যায়, ওই নির্দিষ্ট সময়েই ওর খিদে পাচ্ছে।
পঞ্চম, যারা বসে একেবারেই খাবার খেতেই চায় না। তাদের এক থেকে দুই ঘণ্টা পরপর হালকা খাবার দিতে হবে। এবং আসতে ধীরে নিয়মের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে।
আপনার শিশুকে সবরকম সাহায্য করুন। নিয়মের মধ্যেই ওকে ভালও রাখার চেষ্টা করুন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন