Raisin Water benefits for skin: স্বাস্থ্যকর-উজ্জ্বল ত্বক পাওয়া সহজ কাজ নয়। এর জন্য, আমরা প্রায়শই বাজার থেকে দামি ক্রিম কিনে থাকি এবং ত্বকের বিভিন্ন রকম চিকিৎসা করি। কিন্তু এগুলো প্রতিবার কাজ করে না। আসলে, ত্বকে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা আসে যখন আপনি ভিতর থেকে সুস্থ থাকেন। এই প্রতিবেদনে তেমনই মুশকিল আসান বলা হচ্ছে। আপনাকে যা করতে হবে তা হল এক গ্লাস জলে কিশমিশ রেখে সারারাত ভিজিয়ে রাখার পর সকালে সেই জল খেতে হবে। এটি কিশমিশ জল নামে পরিচিত যা আসলে একটি ডিটক্স পানীয়। আপনি যদি এই ঘরোয়া প্রতিকারটি ব্যবহার করেন তবে আপনি আপনার মুখের ত্বকে অনেক উপকার দেখতে পাবেন।
কিশমিশ জলের উপকারিতা-
-গবেষণায় দেখা গেছে যে আপনি যদি প্রতিদিন সকালে কিশমিশের জল খান তবে এটি ত্বককে হাইড্রেটেড এবং পুষ্ট রাখতে সাহায্য করে, যার ফলে ত্বক শুষ্ক হয় না এবং উজ্জ্বল থাকে।
-এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-ই, বিটা ক্যারোটিন যা ত্বকের ক্ষতি দ্রুত সারাতে সাহায্য করে। যার কারণে ত্বকে অকালে বলিরেখা দেখা দেয় না।
-কিশমিশের জলের ত্বকের গঠন উন্নত করে, মসৃণ করে এবং ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। যার কারণে ত্বকের নিস্তেজ ভাব চলে যায়। শুধু তাই নয়, এটি ব্রণ ও মুখের দানার ঝুঁকিও কমায়।
কিশমিশের জল তৈরির পদ্ধতি-
রাতে ১০ থেকে ১২ কিশমিশ নিয়ে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। এখন এটি একটি গ্লাসে রাখুন এবং এতে এক গ্লাস হালকা গরম জল দিন। এখন এটি ৪ থেকে ৫ ঘন্টা বা সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে পান করুন।
ত্বকের যত্নে কীভাবে ব্যবহার করবেন-
১. ছাঁকনি দিয়ে কিশমিশের জল ফিল্টার করুন এবং একটি স্প্রে বোতলে রাখুন। এবার ফ্রিজে রেখে দিন। স্কিন টোনার হিসেবে ব্যবহার করুন।
২. সকালে খালি পেটে কিশমিশ জল খেলে তা ত্বককে ভিতর থেকে সুস্থ করতে সাহায্য করবে।
৩. আপনি ফেসপ্যাক হিসাবে কিশমিশ জল ব্যবহার করতে পারেন। বেসন ও হলুদ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে ত্বকে লাগান। এটি তাৎক্ষণিক উজ্জ্বলতার জন্য একটি আশ্চর্যজনক প্যাক।