সারাদিনের উপোস ভাঙবে ইফতারে, এমনটাই রীতি রোজার। গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে রমজান মাস। গোটা মাস জুডেই চলবে পবিত্র রমজান, শেষ হবে ঈদ দিয়ে। যেহেতু সারাদিনের অনেকটা সময়ই না খেয়ে থাকতে হয়, তাই উপোসের পর খাওয়ার দিকটায় নজর দিতে হয় বিশেষ। দীর্ঘ সময়ের পর ইফতারের পাতে হালকা খাবার রাখাই ভাল। হজম হতে সুবিধা হয়। প্রধানত ফলমূলই বেশি থাকে ইফতারে। খেজুর, আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, জামরুল, তরমুজ, পাকা পেঁপে প্রভৃতি মৌসুমি ফল।
উপোস শুরুর আগে ভারি খাবারের তালিকায় রাখা হয় হালিম। তবে স্থানভেদে ইফতারের খাবারের তারতম্য রয়েছে, কলকাতায় মূলত ফল, কিছু ভাজাভুজি, বিভিন্নরকম মিষ্টি, সিমাই ইত্যাদিই খাওয়া হয়। অন্যদিকে, আরবে ইফতারের প্রধান খাবার রসুন থেকে তৈরি এক ধরনের শরবত। দক্ষিণ এশিয়া ও তুরস্কে দইয়ের পানীয় জনপ্রিয়।
তবে রমজানের অন্যতম বিখ্যাত খাবার হালিম। এই সময়টা শহরের বিভিন্ন হোটেলেও বিশেষ করে মেলে মাটন এবং চিকেন হালিম। শুধু তাই নয়, মেলে হালিমের রকমারি স্বাদও। শাহি হালিম থেকে হায়দরাবাদি হালিম, আফগানি হালিম, ইরানি হালিম সবই পাওয়া যায় বিভিন্ন রেস্তোঁরায়।
রয়্যাল, আর্সালান, সাবির, আমিনিয়ার মতো বেশ কিছু রেস্তোঁরা বিশেষত হালিম বানিয়ে থাকেন। চিকেন এবং মাটন সহ বিভিন্ন রকমের হালিম রাখেন তাঁরা। এছাড়াও নিজামে আছে বিভিন্নরকম হালিমের পাশাপাশি, সুমসুম বিরিয়ানি, নার্গিস বিরিয়ানি, মহারাজা বিরিয়ানি, লাচ্চা রেশমী রোল।
পুষ্টিগুন খুব বেশি হওয়ায় যেকোনও সময়ই খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন হালিম। খানদানি রেস্তোঁরা থেকে যেমন তেমন দোকান বিশাল হাণ্ডিতে দেখা পাবেন তার। তবে দুঃখ একটাই। সে থাকে বড় কম সময়।
রকমারি স্বাদে বানাতে পারেন হালিম। রইল সোজা রেসিপি
উপকরণ: মুগ ডাল, মাসকলাই ডাল, মসুর ডাল আর বাসমতি চাল সব একসঙ্গে গুঁড়ো করে নিন। এতে সময় বাঁচবে।
বাকি যা লাগবে: গোটা মুরগি, এক থেকে দেড় কেজি, ছোট করে কাটা
পেঁয়াজ ৪ টি কুচি করে বেরেস্তা করা
পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ
আদা বাটা ২ টেবিল চামচ
রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ
হলুদ মরিচ গুঁড়ো মিলে ২ চা চামচ
গরম মশলা পাউডার ১ টেবিল চামচ
জিরা গুঁড়ো ২ চা চামুচ
ধনিয়া গুঁড়ো ২ চা চামচ
ধনিয়া পাতা কুচি
আদা কুচি
তেল হাফ কাপ
লবণ স্বাদমত
প্রণালী
প্রথমে মুরগির সঙ্গে সব মশলা মিশিয়ে ম্যারিনেট করে রাখুন আধঘন্টা। এবার বড় হাঁড়িতে তেল দিয়ে তাতে মাখানো মুরগির পিস ছেড়ে দিয়ে নাড়াচাড়া করে অল্প জল দিয়ে ২০ মিনিট রান্না করুন। তেল ছেড়ে এলে প্রথমে গুঁড়ো বা গোটা সব রকম ডাল আর গম এর মিশ্রনটা দিয়ে নাড়াচাড়া করে ৫ কাপ গরম জল দিয়ে দিন। এবার ভাল করে নাডুন। আঁচ কমিয়ে রান্না করুন ১ ঘন্টা। মাঝে মাঝে নেড়ে দিতে ভুলবেন না। ঘন হয়ে এলে তেল উপরে উঠে আসবে। নামিয়ে হালিম এর উপরে ধনেপাতা কুচি, আদা কুচি, মরিচ, বেরেস্তা ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।