Ranaghat devi Sheetala mandir: রানাঘাটের জাগ্রত শীতলা মন্দির। যে মন্দিরে এসে প্রার্থনা করলে নাকি নানা রোগ সেরে যায়। এমনটাই দাবি মন্দিরের পরিচালকদের। দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা এই মন্দিরে ভিড় করেন। ভক্তদের দাবি, এখানকার বিগ্রহ অত্যন্ত জাগ্রত। ভক্তদের দাবি, এই মন্দিরে কাতর প্রার্থনা জানালে দেবী শীতলা চরণ দর্শন দেন।
দুই শতাব্দী পুরোনো মন্দির
নতুন গজিয়ে ওঠা কোনও মন্দির এটা নয়। চক্রবর্তী পরিবারের বাসজমির প্রাঙ্গণেই গড়ে ওঠা এই মন্দিরের বয়স ২০০ বছর। একটা সময় এই অঞ্চল ছিল জঙ্গলে ভরা। বসবাস সেই অর্থে প্রায় ছিল না বললেই চলে। আগে এই কারুকাজ করা মন্দির ছিল চালাঘর। এমনটাই দাবি মন্দিরের পরিচালকদের। প্রতিবছর এখানে সাড়ম্বরে দেবীর বাৎসরিক উৎসব পালিত হয়। এখানে দোলের আট দিন পরে, বিশেষ উৎসবের আয়োজন করা হয়। সেই উৎসবে কয়েক লক্ষ লোক যোগ দেন।
জাগ্রত মন্দির
এই মন্দিরের সেবায়েত বংশের পূর্বপুরুষ হরিদাস চক্রবর্তী ও ফকিরচাঁদ চক্রবর্তীদের কাছে হাম ও বসন্তের সমস্যা নিয়ে বহু দূর থেকে রোগীরা এসে ভিড় করতেন। স্বপ্নাদেশে পাওয়া তাঁদের ওষুধে নাকি বেশ কাজও দিত বলেই দাবি ভক্তদের। বর্তমানে প্রতি দুপুরে এখানে দেবীর ভোগের আয়োজন হয়। আশপাশের এলাকা তো বটেই, বহু দূর জায়গা থেকেও এই মন্দিরে প্রায় প্রতিদিনই ভক্তরা যাতায়াত করেন। ভক্তদের দাবি, এখানে দেবীর কাছে কামনা করলে নাকি তা পূরণ হয়।
মন্দিরের গর্ভগৃহ
এই মন্দিরের গর্ভগৃহের দেওয়ালে দেবী শীতলার একটি বিগ্রহ তৈরি করা আছে। যার সামনে রয়েছে মূল বিগ্রহ। দেবীর সামনে রয়েছে একটি শিবলিঙ্গ। এই মন্দিরে দেবী যে বেদীতে অধিষ্ঠান করছেন, তা রয়েছে একটি পদ্মফুলের ওপরে। দেবীর বেদীর সামনে রয়েছে গোপালের বেশ কয়েকটি বিগ্রহ। এছাড়াও আছে নারায়ণ শিলাও। দুপুর ১২টায় দেবীর ভোগ হয়। মন্দিরের গর্ভগৃহের ভিতরে রয়েছে বড় আকারের দুটো ঝাড়বাতি।
আরও পড়ুন- শ্যামনগর মূলাজোড় ব্রহ্মময়ী মন্দির, পৌষকালীর তীর্থস্থান
কীভাবে যাবেন?
রানঘাট স্টেশনের ১ নং প্ল্যাটফর্মের টিকিট কাউন্টারের পাশ দিয়ে বেরিয়ে বাঁ-দিকের রাস্তায় যেতে হবে। কয়েক মিনিট যাওয়ার পরেই রাস্তাটা ভাগ হয়ে গিয়েছে। সেখান থেকে ঢুকতে হবে শীতলাতলায় নবারুণ সংঘের গলিতে। কিছুদূর যাওয়ার পরই দেখা যাবে ডানহাতে ইস্কন বা গৌড়ীয় মঠের আদলে তৈরি মন্দির। আসলে, এটাই হল রানাঘাটের জাগ্রত শীতলা মন্দির। যার কয়েক হাত পাশেই রয়েছে মন্দিরে প্রবেশ করার সদর দরজা। লোহা দিয়ে পদ্মফুলের বেশ কয়েকটি আদল তৈরি করা আছে খিলানবিশিষ্ট এই নবরত্ন মন্দিরের দরজায়। এই মন্দিরের বর্তমান রূপ নিজেরাই কারিগর দিয়ে ইস্কনের সন্ন্যাসীরা তৈরি করিয়ে দিয়েছেন বলেই দাবি মন্দির কর্তৃপক্ষের।