বাইরে সূর্যের প্রবল চোখ রাঙানি, গরমে তেল-মশলার প্রতি বড়ই অরুচি। এদিকে জিভের তোয়াজ করতে গেলে মুখরোচক রান্না ছাড়া চলে নাকি? তবে গ্রীষ্মের প্রবল দাবদাহে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে গেলে সবার আগে প্রয়োজন পেট ঠাণ্ডা রাখা। আর পেট ঠাণ্ডা রাখার প্রধান উপায় হলো হালকা খাবার। হালকা খাবার মানেই কি স্বাদের সঙ্গে সমঝোতা? একদমই তা নয়। কম তেল মশলাতেও বেশ স্বাদু খাবার তৈরি করা যায়। তাই আপনাদের সঙ্গে আজ এমন দুটি রেসিপি শেয়ার করব যা বানাতে সহজ, খেতে দারুণ, অথচ গরমকালের উপযোগী এবং কম তেল-মশলাদার।
কাতলা পেটির টক
উপকরণ: কাতলা মাছের পেটি (৪ টি), আমাদা কুচোনো (১ টেবিল চামচ), শুকনো লঙ্কা (২ টি), পাকা তেঁতুলের ক্কাথ (২ টেবিল চামচ), নুন (স্বাদ মতো), চিনি (৩ চা চামচ), হলুদ গুঁড়ো (১ চা চামচ), গোটা সর্ষে (১/২ চা চামচ), সর্ষের তেল (১/২ কাপ)
প্রণালী: মাছ ধুয়ে নুন হলুদ মাখিয়ে সোনালী করে ভেজে তুলুন। এরপর পরিষ্কার তেলে গোটা সর্ষে ও শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিন। সুগন্ধ বেরোলে নুন, হলুদ গুঁড়ো, তেঁতুলের ক্কাথ, নুন, চিনি, ও আমাদা দিয়ে হালকা কষিয়ে নিন। এইবার ওই মশলায় ৩/৪ (পৌনে এক) কাপ জল ও ভাজা মাছগুলো দিন। মাছ ফুটলে, একটু ঘন হলে নামিয়ে নিন।
আরও পড়ুন, রুকমা দাক্ষীর রান্না বিলাস: আম বাহারে
ঝিঙে চিংড়ি
উপকরণ: ধোয়া বাছা কুচো চিংড়ি (২০০ গ্রাম), ডুমো করে কাটা ঝিঙে (৩ টে), নুন (স্বাদ মতো), চিনি (১ চা চামচ), কালোজিরে (১/২ চা চামচ), কাঁচালঙ্কা (৪-৫ টা), হলুদ গুঁড়ো (এক চিমটে, মাছে মাখানোর জন্য), নারকেল কোরা (১/২ কাপ), সর্ষের তেল (৪ টেবিল চা চামচ)
প্রণালী: মাছে নুন হলুদ মাখিয়ে রাখুন। কড়াইতে তেল দিয়ে কালোজিরে ফোড়ন দিন। ফোড়ন হয়ে গেলে জল চিপে বের করে নিয়ে মাছ দিন এবং হালকা করে ভাজুন। এইবার বাকি সব উপকরণ যেমন ঝিঙে, নুন, চিনি, নারকেল কোরা দিয়ে ঢাকা দিয়ে মাঝারি আঁচে রাঁধুন। মাঝে মাঝে ঢাকা খুলে নাড়তে থাকুন। বেশ শুকনো শুকনো হয়ে এলে কাঁচালঙ্কাগুলো ভেঙে ভেঙে দিয়ে দিন। তরকারির থেকে তেল ছাড়লে নামিয়ে নিন। গরম ভাতে খান, ভালো লাগবে।