দুধ - এর পুষ্টির সঙ্গে আর কিছুর তুলনা সম্ভব নয় কিংবা বলা উচিত এর ক্যালসিয়াম এবং অন্যান্য উপাদেয় যেকোনও মানুষের পক্ষে খুব কার্যকরী। একটু বয়স বাড়লেই, কিংবা হাড়ের জোর কমলে যেকোনও মানুষকে বেশি করে দুধ খাওয়ার উপদেশ দেওয়া হয়। আবার অনেক সময় দুধ বেশি পরিমাণে খাওয়ার কারণে শরীরে অল্প বিস্তর সমস্যাও দেখা যায়, অ্যালার্জি এবং হরমোনাল প্রভাব তার মধ্যে অন্যতম। কাঁচা দুধ খাবার হিসেবে একেবারেই ঠিক নয়, কিন্তু এটি স্কিনের পরিচর্চার ক্ষেত্রে বেশ গুরুত্ব রাখে!
Advertisment
ত্বকের এককথায় পুষ্টি প্রয়োজন। অর্থাৎ, এমন কিছু যেটি গরমে শীতে সবসময়ই ত্বককে ভাল রাখে। এবং কাঁচা দুধ ঠিক তেমনই একটি উপাদান। এটি স্কিনের পুষ্টি, আদ্রতা এবং ময়েশ্চার ধরে রাখে। বিশেষ করে টানটান উজ্জ্বল স্কিন এবং অল্প বয়সের চামড়া ধরে রাখতে গেলে এটি খুব ভাল কাজ করে। কী কী ভাবে স্কিনের উন্নতি করে এটি?
কাঁচা দুধ, স্কিনের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। কারণ এটি টিরসিন ক্ষরন কম করে, এরটির কারণেই মেলানিন চামড়াকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই এর থেকে ভাল উপাদান আর কিছুই নেই। কাঁচা দুধ স্কিনে লাগালে তৎক্ষণাৎ একটি গ্লো দেখা যায়।
কাঁচা দুধ ভীষণ ভাল ময়েশ্চার হিসেবে কাজ করে। তার কারণ এটি স্কিনের প্রতিটি স্তরে ঢুকতে পারে। ত্বকের আর্দ্রতা লক করে। ফলেই এটি বেশ ভাল একটি ময়েশ্চারাইজার।
ভীষণ শুকনো এবং শুষ্ক ত্বক? তবে রাত্রিবেলা এটি স্কিনে লাগানোর অভ্যাস করলে কিন্তু অনেকটা রেহাই পাবেন। বিশেষ করে শুকনো চামড়াকে সরিয়ে নতুন চামড়া তৈরি করতে পারে। স্কিনের ফুসকুড়ি, মেচেতা এসবের মাত্রা অনেক কমে।
সূর্যের আলোয় মুখে ভীষণ ট্যান পড়েছে? এটি মাস্ক হিসেবেও দারুণ কাজ করে। সঙ্গে সঙ্গেই কাঁচা দুধ এবং টমেটোর রস একসঙ্গে মিশিয়ে স্কিনে লাগালে যথেষ্ট ট্যান উঠে যাবে।
টোনার হিসেবেও এটা বেশ ভাল! কারণ কাঁচা দুধ স্কিনের সমস্ত তৈলাক্ত ভাব কমিয়ে দেয় এবং সহজেই একে মসৃণ করে তোলে।