দৈহিক হরমোনের ভূমিকা সবসময় মানবদেহে শিরোধার্য। এর কারণে অনেক কিছুই হতে পারে আবার ফলাফল কিন্তু মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। তেমনই ডোপামাইন হরমোন প্রসঙ্গে অনেকেই শুনেছেন, কিন্তু এই হরমোন কীভাবে মানুষের শরীরকে প্রভাবিত করে জানেন? আদতে মস্তিষ্কের সঙ্গে যোগ প্রাপ্ত এই হরমোন কিন্তু মানসিক শান্তি এবং স্বাস্থ্যের জন্য কাজ করে।
বিশেষ করে যারা খুব মনোযোগের কাজ করেন তাদের ক্ষেত্রে ডোপামাইন খুব স্বতন্ত্র ভূমিকায় থাকতে হয়। কারণ এই হরমোনটি কেমিক্যাল ম্যাসেঞ্জার নামেও পরিচিত, যেটি মস্তিষ্কে নানা ইঙ্গিত প্রদান করে। মোটিভেশন, মুভমেন্ট, মুড এবং বাহ্যিক ব্যবহার এইগুলির সঙ্গে সম্পর্কিত। আবার অনেকে এটিকে নিউরো ট্রান্সমিটার আখ্যাও দিয়ে থাকেন। মানুষকে ভাবতে সাহায্য করে, এমনকি উদ্যম জোগায়।
ডোপামাইন হ্রাস পেতে থাকলে কী ধরনের উপসর্গ দেখা যায়?
প্রথম, অত্যন্ত চেতনার ভাব কমে যায়। মানুষ না বুঝে শুনেই কাজ করতে থাকেন।
দ্বিতীয়, ফোকাস কিংবা অ্যাটেনশন কমে যায়। একাগ্রতা হারিয়ে ফেলে মানুষ, চোখের পলকে ভুল করতে থাকে। সামনে পড়ে থাকা জিনিস খুঁজে পান না।
তৃতীয়, খাবারের ইচ্ছে একেবারে কমে যায়। অর্থাৎ পছন্দের খাবারগুলি ভাল লাগে না।
চতুর্থ, পেশী অসাড় হতে শুরু করে। যে স্থানে এর আগে ব্যথা বেদনা ছিল না সেখানেও ব্যথা হতে থাকে।
পঞ্চম, কাজ করার ইচ্ছে থাকলেও অনুপ্রেরণা কাজ করে না। মানুষ অনুপ্রেরণার অভাব বোধ করেন।
ষষ্ঠ, ইনসোমনিয়া অথবা রাত্রে ঘুম না আসার মত সমস্যা দেখা যায়।
কীভাবে এই হরমোনের মাত্রা সঠিক রাখবেন?
অবশ্যই হেলদি ডায়েট প্রয়োজন। খাবারের দিকে নজর রাখা প্রয়োজন। সব খাবার খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। যেটি আপনার পক্ষে ঠিক সেটিই খাওয়ার চেষ্টা করুন।
গান শুনতে নিশ্চই ভালবাসেন, তবে অবশ্যই গান শুনুন। গান আপনার জন্য সবথেকে ভাল প্রমাণিত হতে পারে।
চিনি খাওয়া একেবারেই কমিয়ে দিন। মিষ্টি কিংবা অত্যধিক কার্ব জাতীয় কিছু খাবেন না।
বেশি করে মেডিটেশন করুন। এর থেকে ভাল আর কিছুই নেই। অন্ধকারে মোম জ্বালিয়েও মেডিটেশন করতে পারেন। এতে ফোকাস বাড়ে, দৃষ্টিশক্তি বাড়ে।
অবশ্যই যোগা এবং প্রাণায়াম করুন, এটি মন শান্ত রাখতে বেশ সহায়তা করে।