সারাক্ষণ খিটখিট করছেন! কিংবা ধরুণ এই ভাল আবার এই সবটা খারাপ লাগছে। এক কথায় মিনিটে মিনিটে মুড সুইং হচ্ছে। নিজের তো ভাল লাগছেই না উল্টে সঙ্গে যারা রয়েছে তাদেরও অবস্থা শোচনীয়। আপনার সঙ্গে কথা বলবে নাকি চুপ করে থাকবে বোঝা দায়। শেষমেষ দাঁড়াল দূরত্ব বজায় রাখলেই মঙ্গল। আর আপনিও অমনি সোশ্যাল দেওয়ালে হ্যাশট্যাগে জুড়ে দিলেন ফিলিং লোনলি, মুড অফ ইত্যাদি প্রভৃতি।
কিন্তু তাই বলে এ আর অনন্তকাল চলতে দেওয়া যায় না। পথ্য কী কিছুই নেই? আলবাত আছে। বিশেষজ্ঞদের মতে গান শুনলে মানসিক চাপ অনেকটা কমে। মনও ভাল থাকে সারাদিন। এখন প্রশ্ন হল সারাদিনের ইঁদুর দৌড়ের মধ্যে গান শোনার সময় কোথায়! নিজের মতো করে সে ফাঁক তো আপনাকেই খুঁজতে হবে।
তবে অফিস যাতায়াতের পথে ভিড় বাসে ইয়ার ফোনটা গুঁজে নিন কানে, দেখবেন বাকি সময়টা মেজাজটা ফুরফুরে লাগছে, অফিসের সব চাপ কর্পুরের মতো কেমন উবে গেছে। কিংবা সকালে ঘুম থেকে উঠেই রেডিও বা মিউজিক সিস্টেমটা অন করে নিন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগেও গান শুনতে পারেন। তবে অবশ্যই এক্ষেত্রে দুঃখের গান না শোনাই শ্রেয়। এতে সারাদিনের মানসিক চাপ অনেকটা হালকা হয়। তবে খেয়াল রাখবেন রাস্তাঘাটে হাঁটতে চলতে ফুল ভলিউমে কানে হেডফোন বা গাড়ি চালানোর সময় জোড়ে গান না শোনাই ভালো ।
তবে আর কেউ না জানুক, নিজেকে সবথেকে ভাল করে জানেন আপনি নিজেই। তাই, যে ধরনের গান পছন্দ করেন, সেইসব গানই শুনুন। ধরুন, আপনার মুড খারাপ, আর সেইসময়ই দুঃখের গান শুনছেন, তাহলে কিন্তু মুশকিল। মুড বুঝে পছন্দমতো গান শুনুন। তবে চড়া সুরের গান না শোনাই ভাল, এতে চাপ কমার থেকে চাপ ক্রমশ বাড়ে।
আজকাল রোগীদের মানসিকভাবে শক্ত করতে মিউজিক থেরাপির প্রচলন বেড়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, গান শুনলে মানসিক চাপ অনেকটা কমে। উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যা থাকলে হালকা টোনের মিউজিক বা গান শুনুন, উপকার পাবেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন