শীতের মরশুম এগিয়ে আসতেই দেশের একাধিক মেট্রোপলিটন শহরে বায়ুদূষণের পরিমাণ বাড়ছে। রাজধানী দিল্লি, মুম্বই, হায়দরাবাদ এবং কলকাতায় দূষণের মাত্রা ঊর্ধ্বমূখী। সেইসঙ্গে ক্রমবর্ধমান শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা। এই চার শহরে অক্টোবর এবং নভেম্বর মাসে ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা। এমটাই জানাচ্ছে স্বাস্থ্য পোর্টাল প্র্যাক্টো। বিশেষজ্ঞদের মতে, দূষণের মাত্রা বাড়াতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে। অনলাইনে অনেকেই শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিচ্ছেন।
অধিকাংশ মানুষেরই শ্বাসকষ্ট, ধুলোয় এলার্জি, অ্যাস্থমা, শুষ্ক কাশির মতো রোগের প্রকোপ বাড়ছে। মূলত ২১-৩০ বছর বয়সী মানুষের মধ্যে ৩৪ শতাংশ এমন সমস্যায় ভুগছেন। এবং ৬০ বছর বা তার ঊর্ধ্বে রয়েছেন এমন তাদের ২৮ শতাংশ সমস্যা জর্জরিত। এদের মধ্যে ৭৯ শতাংশ পুরুষদের মধ্যে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা গিয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দিল্লি, হায়দরাবাদ, মুম্বই, কলকাতা, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই এবং পুণের মতো মেট্রো শহরে এই ধরনের সমস্যা বাড়ছে। দূষণের জেরেই এমনটা হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্র্যাক্টো।
বাতাসের গুণ ক্রমশ খারাপের দিকে যাওয়ায় ইএনটি বিশেষজ্ঞ ড. রাজেশ ভরদ্বাজ জানিয়েছেন, "অনেকগুলো কারণে এমনটা হচ্ছে। যেহেতু শীতল বাতাসের ঘনত্ব বেশি হওয়ায় ধূলিকনা অনেকক্ষণ ধরে বাতাসে ভেসে থাকে। নাড়া পোড়ানো, নির্মাণকাজের আধিক্য, বাজি পোড়ানোর জেরে বাতাসে দূষণের মাত্রা বেড়েছে। কখনও কখনও বাইরের বাতাসের মতো ঘরের ভিতরের বাতাসও দূষিত হচ্ছে। কারণ, বিষাক্ত কণা বদ্ধ ঘরের ভিতরে রয়ে যাচ্ছে। যার ফলে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা বাড়ছে।"
তিনি আরও বলেছেন, "দূষিত বায়ু আমাদের শরীরের জন্য খুবই বিপজ্জনক। বিশেষ করে বয়স্ক, শিশু এবং গর্ভবতী মহিলাদের জন্য। এলার্জি, শ্বাসকষ্ট, হৃদরোগের মতো সমস্যা বাড়তে পারে।"
Read the story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন