আহা। হালে না হয় ডায়েট করবেন বলে ভাত খাওয়া একেবারে বন্ধ করেছেন, কিন্তু ভাতের গন্ধ ভুলবেন কী করে? বাঙালিদের তো অস্থিমজ্জায় মিশে রয়েছে ভাত। তা, এবার আপনাকেও কিন্তু ফিরতে হবেই ভাতের কাছে। ঠিক আছে, ভাত খাওয়ার লোভ থেকে না হয় নিজেকে সম্বরণ করলেন, ভাতের মাড় দিয়েই এবার তাক লাগিয়ে দেবেন সবাইকে।
ছোটবেলায় ভাতের মাড় না গেলে ফেনা ভাত খেয়ে স্কুলে যেতে কেমন লাগত? নস্টালজিয়ায় ফিরতে ইচ্ছে করছে আবার। দাঁড়ান, এবার ভাতের মাড় তাক লাগিয়ে দেবে আপনার চুলে আর ত্বকে।
কী কী উপায়ে কাজে লাগাবেন ভাতের মাড়, জেনে নিন।
ত্বকের র্যাশ-জ্বালা-চুলকুনি
স্নানের জলে ভাতের মাড় মিশিয়ে স্নান করে ধুয়ে ফেললেই দেখবেন আপনার ত্বকের অস্বস্তিকর জ্বালা ভাব, চুলকানি, র্যাশ থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
আরও পড়ুন, বাজার চলতি হেয়ার ডাই নয়, চুল বাদামি করুন প্রাকৃতিক উপায়ে
ব্রণ-ফুসকুড়ি
ব্রণর সমস্যা কি কিছুতেই কমছে না? ভাতের মাড় ঠাণ্ডা করে তুলো দিয়ে ত্বকের ব্রণ হওয়া অংশে লাগান। দিনে অন্তত ২-৩ বার এইভাবে ত্বকের যত্ন নিতে পারলে ব্রণ-ফুসকুড়ির মতো সমস্যা দ্রুত সেরে যাবে।
জৌলুসহীন ত্বক
ভাতের মাড় ঠাণ্ডা করে তুলা দিয়ে মুখের ও হাত-পায়ের রোদে পোড়া অংশে নিয়মিত মাখতে পারলে বাড়বে ত্বকের জেল্লা। এই পদ্ধতিতে ত্বকের যত্ন নিতে পারলে ত্বক থাকবে সতেজ, বজায় থাকবে ত্বকের আর্দ্রতা। এছাড়াও ত্বকের হাইপার পিগমেন্টেশন আর ত্বকে বয়সের ছাপ পড়া ঠেকাতে ভাতের মাড় অত্যন্ত কার্যকরী।
আরও পড়ুন, মধু না চিনি, শরীরের পক্ষে কোনটা ভাল?
নিষ্প্রাণ চুল
ভাতের মাড়ে জল মিশিয়ে খানিকটা পাতলা করে নিন। শ্যাম্পু করার পর চুলে ভাতের মাড় দিয়ে মিনিট তিনেক রেখে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। চুলের ডগা ফেটে যাওয়ার মতো সমস্যার মোকাবিলায় এই পদ্ধতি খুবই কার্যকর। এছাড়া চুল গোড়া থেকে মজবুত করতে আর চকচকে করতে সাহায্য করে এই পদ্ধতি।