রাষ্ট্র সংঘের ক্লাইমেট অ্যাকশন সামিটে গত সোমবার এক ঝাঁক কিশোর কিশোরী পরিবেশের প্রতি রাষ্ট্রের ঔদাসিন্য নিয়ে উগড়ে দিয়েছে তাদের যাবতীয় অভিযোগ। ১৬ জন অভিজোগকারীর মধ্যে মঞ্চে ছিলেন গ্রেটা থুনবার্গ, ছিলেন রিদ্ধিমাও। হ্যাঁ ভারতের রিদ্ধিমা পাণ্ডে।
Advertisment
যারা রাষ্ট্রপুঞ্জের সদস্যদের বিরুদ্ধে পরিবেশ ঔদাসিন্যের অভিযোগ এনেছে, তাঁদের বয়স ৮ থেকে ১৭-র মধ্যে। মূল অভিযোগ হল, সদস্য দেশ পরিবেশের সংকট দূর করতে ব্যর্থ হয়েছে, এবং সেই সঙ্গে শিশুদের অধিকার লঙ্ঘন করেছে।
সুইডিশ পরিবেশ আন্দোলনকারী গ্রেটা থুনবার্গের সঙ্গে গত সোমবারের মঞ্চে ছিল ১২টি দেশের প্রতিনিধি। ভারত থেকে ছিল ১১ বছরের রিদ্ধিমা পাণ্ডে। উত্তরাখণ্ডের মেয়ে রিদ্ধিমা জানিয়েছে সে একটা সুরক্ষিত ভবিষ্যতের জন্য লড়তে চায়। "আমি একটা ভালো ভবিষ্যৎ চাই। আমি আমার নিজের এবং আমাদের সবার ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করে তুলতে চাই। আগামী প্রজন্মের সমস্ত শিশুর জন্য আমি পৃথিবীটাকে বাঁচাতে চাই", চিলড্রেন ভার্সাস ক্লাইমেট ক্রাইসিস ওয়েবসাইটে এই কথাগুলোই লেখা আছে রিদ্ধিমার।
২০১৭ সালে শিরোনামে এসেছিল ৯ বছরের মেয়ে রিদ্ধিমা। ভারত সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করল। তার অভিযোগ ছিল, পরিবেশ সুরক্ষার কাজে উপযুক্ত আইন প্রণয়ন করতে ব্যর্থ ভারত সরকার। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারেনি সরকার। মামলায় জোর দেওয়া হয়েছিল পরিবেশের অবনতি আর দূষণের বিষয়ে। মামলা করা হয়েছিল জাতীয় পরিবেশ আদালতে (ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল)।
এই মামলায় ৫২ পাতার আবেদনে বলা হয়েছে, রিদ্ধিমা ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের এক জন নবীন প্রতিনিধি। আদালতের কাছে রিদ্ধিমার আবেদন ছিল, বিভিন্ন শিল্পকেন্দ্র থেকে কী পরিমাণ পরিবেশ দূষণ হয় তার পরিমাপ করার, একটা ‘কার্বন বাজেট’ তৈরি করার, যাতে শিল্পাঞ্চল থেকে নির্গত হওয়া কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেঁধে দেওয়া যায়, পরিবেশ পরিশোধনের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হোক সরকারকে।
২০১৩ সালের উত্তরাখণ্ডের বন্যা পরিস্থিতির পর থেকেই আবেদন জানায় রিদ্ধিমা। পরিবেশকর্মী রাহুল চৌধুরীর ছোট্ট মেয়ে রিদ্ধিমাকে ভেতর থেকে একেবারে গুড়িয়ে দিয়েছিল সেই বন্যা। ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালে রিদ্ধিমার প্রতিনিধিত্ব করেছিল তার বাবাই।
আমাদের নিউজলেটার সদস্যতা!
একচেটিয়া অফার এবং সর্বশেষ খবর পেতে প্রথম হন