কথায় বলে কাঁচা নুন খাওয়া শরীরের পক্ষে খুব খারাপ কিন্তু সেই জায়গায় সৈন্ধব লবণ অথবা বিট নুন এতটাও শরীরের পক্ষে খারাপ নয়। অনেক সময় দেখা যায়, চিকিৎসকরাও এই নুন খাওয়ার কথা বেশিই বলেন। উচ্চ রক্তচাপ হোক কিংবা অন্যান্য সমস্যা এই লবণ কিন্তু বেশ সহায়ক, সঙ্গেই প্রতিদিনের জীবনে শরীরের নানান ক্ষেত্রে এটি কাজে লাগতে পারে। এমনকি আয়ুর্বেদের ঘরোয়া রেমেডি হিসেবেও!
Advertisment
পুষ্টিবিদ এবং বিশেষজ্ঞ ভারালক্ষি ইয়ামারেন্দ্র বলছেন, হিমালয়ান এই গোলাপী নুন নিজে থেকেই সাংঘাতিক গুণ সম্পন্ন, এতে এমন কিছু বিশেষত্ব রয়েছে যা মানুষের জটিল রোগের সমাধান করতে পারে। শরীরের দীর্ঘ দিনের সমস্যা থেকে এটি ঠিক কিভাবে আরাম প্রদান করে?
তিনি বলছেন অন্যান্য নুনের মত এটি পিত্ত দশাকে বাড়িয়ে তোলে না। বরং শরীরের প্রয়োজনে তিনটি দশাকে সমানভাবে সক্রিয় রাখে। শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে।
পেশীর ব্যথায় সাহায্য করে :- এক চুটকি সৈন্ধব লবণ তিলের তেলে মিশিয়ে সেটিকে পেশী কিংবা গাঁটে মালিশ করুন, ব্যথা অনেক কমবে। এটি আড়ষ্ঠ ভাব কম করে, শরীরে প্রদাহ কমিয়ে ব্যথার সম্ভাবনা বাড়ায়। সম্ভব হলে এই তেল মালিশ করার পর সাওনা বাথ নেবেন।
বুকে কষ্ট দুর হয় :- গরম তেলের সঙ্গে এই লবণ মিশিয়ে বুকে মালিশ করলে অনেক রেহাই পাবেন। বুকের কষ্ট, শক্ত ভাব কমবে। আবার এক কাপ সৈন্ধব লবণ, একটি তাওয়ায় গরম করে (৫ মিনিট মত ) সেটিকে একটি শুকনো কাপড়ে পুরে বুকের চারপাশে সেঁক দিলে আরাম পাবেন।
পেশীতে আড়ষ্ঠ ভাব এবং টান লাগা :- উষ্ণ জলে এক চামচ এই লবণ মিশিয়ে পান করতে হবে। এটি ম্যাজিকের মত কাজ করবে। সবথেকে বড় কথা, মিনারেলের সমস্যা এবং শারীরিক গতি নিয়ে আর কোনও সমস্যা থাকবে না।
গলা ব্যাথা কমায় :- গরম জলে এই লবণ ফেলে গারগল করলে সহজেই গলা ব্যাথা কমে। শুধু তাই নয়, বরং টনসিলের ক্ষেত্রেও এটি সমান উপকারী।
তাই এবার থেকে এটিকে কাজে লাগান, দেখবেন অনেক উপকার পাবেন।