উচ্চতা না থাকলে অনেক মানুষই এমন আছে যারা প্রচন্ড মাত্রায় অন্যদের খোঁটা শোনেন। আবার অতিরিক্ত উচ্চতা বিশিষ্ট মানুষেরও সমস্যা কম নয়। বিশেষত মেয়েদের একটু উচা লম্বা আকৃতি হলেই বেজায় মুশকিল হিসেবেই তাকে গণ্য করেন। আর প্রসঙ্গে যখন বিশ্বের সবথেকে উচ্চ আকৃতির মহিলা তার জীবনে ব্যতিক্রম তো হবেই!
Advertisment
রুমেইশা গেলগী, পৃথিবীর সবথেকে উঁচু আকৃতি বিশিষ্ট মহিলার খেতাব পেয়েছেন গিনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড এর তরফ থেকে।আদতে তিনি তুর্কীর বাসিন্দা, পরিমাপ ২ মিটার ১৫ সেন্টিমিটার অর্থাৎ প্রায় ৭ ফিট ৭ ইঞ্চি। রুমেইশা জন্মগ্রহণ করেছিলেন বেশ কিছু শারীরিক হরমোনাল সমস্যা নিয়ে। শরীরে জন্ম থেকেই বহাল ছিল উইভার সিনড্রোম, এটি একটি বিরল জেনেটিক রোগ যা অস্বাভাবিক ভাবে দ্রুত বৃদ্ধি ঘটায়।
নিজের বিষয়ে এই দূরদর্শিতা সত্যিই অবাক করার মত। কী বললেন তিনি? সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে জানান, ভিন্ন হওয়া যতটা খারাপ সকলে মনে করেন সেটি একেবারেই নয়। এটি আপনাকে অপ্রত্যাশিত সাফল্য এনে দিতে পারে। তিনি আরও বলেন, তাঁর হাঁটার বাহক যে ফ্রেম সেটিকে সঙ্গে নিয়েই গর্বের সঙ্গে হেঁটে বেড়ান। ১৮ বছর বয়সে কিশোরী বিভাগে জীবিত মহিলা হিসেবে স্বীকৃতি মেলার পর এটি তাঁর জীবনের দ্বিতীয় রেকর্ড।
Advertisment
তবে বিশ্বের দরবারে কী বলতে চান গেলগী? তিনি উৎসাহের সুরেই বলেন, উইভারের মত জেনেটিক রোগ সকলের সামনে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য তিনি কাজ করবেন। মানুষকে এই সিনড্রোম সম্পর্কে সচেতনতা বাড়িয়ে তুলতেই তিনি চারিদিকে ছড়িয়ে দেবেন। প্রত্যেকের জন্য প্রচেষ্টা করা অনিবার্য তবেই এটি সুবিধায় পরিণত হবে। নিজেকে সুন্দর ভাবেই পরিস্থিতি এবং পরিবেশের সঙ্গে বেজায় মানিয়ে নিয়েছেন রুমেইশা। সবসময় দাঁড়িয়ে ঘুরতে ভালোবাসেন। একটুও খারাপ ভাবে বিষয়টি গ্রহণ করেন না। যেইরকম ঠিক সেরকমই গ্রহন করার মত মানসিকতা রাখা উচিত তবেই পৃথিবী সুন্দর হবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন