ওজন কমানো নিয়ে বেশিরভাগ মানুষ প্রচুর ধরনের মিথ বিশ্বাস করে। যে যাই বলছে ওমনি আপনিও সেইমত শুরু করে দিচ্ছেন। ডায়েট থেকে ব্যায়ামের নিয়ম কানুন, সবকিছুতেই অন্যের মুখাপেক্ষী থাকেন। আবার অনেকেই প্রপার ট্রেনারের সাহায্য নেন বটে। তবে বেসিক কিছু শারীরিক ক্রিয়াকলাপ যেমন জগিং এবং স্কিপিং এটি কিন্তু অনেকেই করে থাকে। এমনকি বেশ কিছু বিশ্বাস এর মধ্যে লুকিয়ে আছে! এক, স্কিপিং করলে নাকি মানুষ লম্বা হয় এবং দুই দৌড়ের সঙ্গে সঙ্গে পেশী মজবুত হয়।
ওজন কম করার রাস্তায় অনেকেই দুটির মধ্যেই সীমাবদ্ধতা রাখেন আবার অনেকেই যেকোনও একটি বেছে নেন। ফিটনেস কোচ ময়ূর ঘরত বলেন প্রশ্ন যখন ওজন কমানোর তখন সবথেকে কম খরচে যদি কিছু সম্ভব হয় তবে সেটি হল জগিং এবং স্কিপিং। দৈহিক শক্তি বাড়াতে, হার্টের পেশী শক্তিশালী করতে এবং হাড়ের ঘনত্ব বজায় রাখতে, আয়ু বৃদ্ধি করতে, এই দুটিই বেশ কাজ দেয়।
তবে দুটির মধ্যে আদর্শ কোনটি? দুটির কারণে যে ধরনের দৈহিক সুবিধা এবং শারীরিক পরিচর্যা গুলি সম্ভব সেই নিয়েই বিস্তারে আলোচনা করা প্রসঙ্গ।
প্রথমে দেখে নিই স্কিপিং কীভাবে শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে পারে:
- যদি সহজে এবং তাড়াতাড়ি ওজন কমাতে চান তবে কিন্তু স্কিপিং খুব ভাল অপশন। ১ মিনিটে ১৬ ক্যালরি ওজন হ্রাস হয়। অর্থাৎ ৩০ মিনিট মানে ৪৮০ ক্যালরি ওজন হ্রাস। তাই এটি কিন্তু আপনার কাজে আসতেই পারে।
- শরীরের নিম্ন অংশের পেশী মজবুত করতে স্কিপিং বেশ কাজ দেয়। হাঁটুতে চাপ কম পড়ে, গোড়ালিতে স্থিতিশীলতা বজায় থাকে। শিশুদের আকৃতি বৃদ্ধি অর্থাৎ লম্বা করতে দারুন কাজে লাগে। বিশেষত যাদের আঘাত রয়েছে তারা কিন্তু স্কিপিং করতে পারেন দৌড়ানোর পরিবর্তে।
- দ্রুত পায়ের কাজ, এবং কব্জির ঘূর্ণায়মান শারীরিক সমন্বয় তৈরি করতে এটি দারুন কাজ দেয়। বিশেষ করে অ্যাথলেট দের ভারসাম্য এবং সমন্নয় বৃদ্ধি করে। স্ট্যামিনা বাড়িয়ে তোলে।
দৌড়ের ফলে শারীরিক যে বিষয়গুলি উন্নত হয় তার মধ্যে,
- কারডিওভাসকুলার সিস্টেম অর্থাৎ হার্টের দেয়ালকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এমনকি সামগ্রিক দক্ষতা বৃদ্ধি করতেও এটি নিদারুণ বিষয়। রক্ত প্রবাহকে সচল রাখে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। প্রতিদিন অল্প বিস্তর দৌড়ানো ভাল।
- শরীরের সঙ্গে সঙ্গে মানসিক পর্যায়কে সুস্থ রাখে। মস্তিষ্কে এন্ডরফিন এবং সেরেটোনিনের মত রাসায়নিক মাত্রা বৃদ্ধি করে। ফলেই চাপের উদ্বেগ কমে এবং হতাশা, একাকীত্ব এগুলি হ্রাস পায়। বিচ্ছিন্নতার অনুভূতিও হ্রাস পায়।
- ফুসফুস সুস্থ রাখতে কাজে দেয়। কার্বন ডাই অক্সাইড, শ্লেষ্মা এবং কফ দুর করে। শ্বাসযন্ত্রের পেশীগুলোর সহনশীলতা তৈরি করে। ফুসফুসের রোগের ঝুঁকি রোধ করে।
বুঝে নিয়েছেন তো আপনার পক্ষে কোনটি জরুরি?
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন