Advertisment

শিশুদের বাজি পোড়াতে দিন, পরিবেশের জন্য নতুন কিছু ভাবুন - উপদেশ সদগুরুর

শৈশবের দিনে আতশবাজি আনন্দের সমান- সদগুরু

author-image
IE Bangla Lifestyle Desk
New Update
NULL

আতশবাজি নিয়ে সদগুরুর উপদেশ

সারাবছরের শেষে দীপাবলি আর কালীপুজোর জন্য মানুষ অপেক্ষা করে থাকেন। বিশেষত ছোটরা। এই দুদিন উৎসবের মরশুমে আতশবাজির রেশ আর সৌন্দর্য্য থাকে সাংঘাতিক। তার সঙ্গে অবশ্যই পরিবেশের ক্ষতি হয় না এটি কিন্তু একেবারেই বলা যায় না। আতশবাজির থেকেও বেশিমাত্রায় ক্ষতি করে শব্দবাজি। চকোলেট বোম্ব থেকে পে টো কিংবা কালিপটকা আওয়াজই যেন চারিদিকে দহরম মহরম সৃষ্টি করে। কিন্তু আতশবাজির রঙিন আমেজ এবং সৌন্দর্য সত্যিই আনন্দদায়ক। 

Advertisment

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সারা দেশে আতশবাজি এবং শব্দবাজি নিষিদ্ধ করা হয়েছে এই দীপাবলিতে। হঠাৎ করেই যেমন বাজির বাজারের আর্থিক ক্ষতি ঠিক তেমনই শিশুদের মনে বেশ দুঃখ। প্রসঙ্গেই যোগা এবং আধ্যাত্বিক বিশেষজ্ঞ সদগুরু ব্যক্ত করেছেন একটি উপদেশ। তিনি বলেন, 'পরিবেশ দূষণ সম্পর্কে যতই ভাবনা চিন্তা হোক না কেন তার সঙ্গে শিশুদের আনন্দ থেকে দূরে রাখার কোনও মানে হয় না। বাকি সবকিছু একই থাকবে কিন্তু এই আলোর উৎসবে ওদের আনন্দ এবং আতশবাজি থেকে দূরে রাখা একধরনের শাস্তি - এটি ওদের কাছে আনন্দের এক বিশাল জায়গা। তাই বাজি পোড়ানো বন্ধ করার জায়গায় একদিন বাস ট্রাম এবং নিজেদের গাড়ি চালানো বন্ধ করুন। তাহলেও অনেক সমাধান হবে'। 

ছোটবেলা প্রসঙ্গেই তাঁর বক্তব্য, যতই হোক না কেন একজন শিশু একেবারেই আতশবাজি পোড়াতে পারবে না এটি ওদের মানসিক অবস্থার পক্ষে ঠিক নয়। তিনি যখন ছোট ছিলেন সারা বছর অপেক্ষা করতেন এই একটি দিনের জন্য। চারিদিকে আলো উৎসব। তাই আপনার শিশুর জন্য বাবা মা হয়ে এইটুকু ত্যাগ কিন্তু করা যায়। একদিনের পরিবর্তে তিনদিন হেঁটে অফিসে যান, গাড়িঘোড়া যতসম্ভব কম চালান। শেষে বলেন ওদের আনন্দ করতে দিন। শব্দবাজি না হলেই হল।  

যদিও সুপ্রিম কোর্ট পরিবেশ বান্ধব বাজির প্রসঙ্গে ছাড় উল্লেখ করেছেন। তারপরেও কিন্তু এলাকায় এলাকায় এবার বাজির অবস্থা খুবই খারাপ। সঙ্গেই বছর ঘণ্টার দিনে আর্থিক অসুবিধাও হয়েছে অনেক। এদিক ওদিক দু একটা শব্দবাজি ফাটছে বটে তবে কতটা কার্যকরী থাকে এটি কালকেই বোঝা যাবে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

crackers air pollution sadguru
Advertisment