বয়স যেমনই হোক, এই প্রচন্ড গরমে কিন্তু সকলেরই নাজেহাল অবস্থা। ঘামের সঙ্গেই শরীরের প্রয়োজনীয় জল এবং নুন বেরিয়ে যাওয়ার সঙ্গেই এক অদ্ভুত ক্লান্তি এবং শুষ্ক ভাব গ্রাস করছে তাদের। শরীরে জলের অভাব ছাড়াও গরমে শিশুরা অনেক ধরনের সমস্যার কবলে পড়তে পারে। এর মধ্যে রয়েছে নির্দিষ্ট কিছু অ্যালার্জি এবং সংক্রমণ রয়েছে।
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ সুরেশ বিরাজদার ধারণা দিচ্ছেন কীভাবে এইসময় তাদের সুরক্ষিত রাখা যায়। একেতেই প্রচন্ড তাপ তাছাড়াও ভীষণ আদ্রতা শিশুদের শরীরকে গরম করে তুলতে পারে। এক্ষেত্রে বাবা মায়েদের সচেতনতা সবথেকে বেশি দরকার। তার কারণ, ওদের নিজেদের পক্ষে খেয়াল রাখা সম্ভব নয়।
হিটস্ট্রোক:- ছোট বড় সকলের এই সমস্যা হতেই পারে। আসলেই গরমে সবথেকে বেশি হিটস্ট্রোকের মাত্রাই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর থেকে মাথা ঘোরানো, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, দুর্বলতা এই জাতীয় লক্ষণ দেখা যায়। এই গরমে বাচ্চাদের শরীরকে ঠান্ডা রাখতে হয় এবং বার বার ঠান্ডা জলে স্নান করানো, প্রচন্ড রোদ থেকে হলে গায়ে বরফ দিয়ে হালকা সেঁক দেওয়া দরকার।
ফুড পয়জেনিং:- সহজ ভাষায় অতিরিক্ত গরমে কিন্তু খাবার দাবার অত্যধিক মাত্রায় খেলে সেটি সহজে হজম হয় না। এবং বিশেষ করে তেল ঝাল মশলা অথবা বাইরের খাবার ওদের দেবেন না। এতে সমস্যা বাড়তে পারে। তার সঙ্গেই ডায়রিয়া, বমি, পেটে ব্যাথা, এই জাতীয় লক্ষণ দেখা গেলে শরীরের জলের পরিমাণ আরও কমে যাবে।
ডি-হাইড্রেসন:- শরীর শুকিয়ে যাওয়া গরমে ভীষণ খারাপ এক লক্ষণ। জলের অভাবে যখন শরীরে মিনারেলস কমে যায়, পুষ্টির আকাল পরে তখন বাচ্চাদের শরীরে খুব সমস্যা দেখা যায়। এই সময় নারকেলের জল এবং বাটার মিল্ক কিংবা দই লস্যি খাওয়া ভাল প্রমাণিত হতে পারে।
সানবার্ন:- সূর্যের আলোর তাপে স্কিন একরকম পুড়ে যাওয়ার মত লক্ষণ। এতে ত্বক লাল হয়ে যায়, প্রদাহ বেড়ে গেলে স্কিনের তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়তে থাকে। বাইরে বেরোতে গেলে ওদের সানস্ক্রিন না লাগিয়ে যেতে দেবেন না। এবং সকাল ১২ টা থেকে ৪ টে পর্যন্ত ওদের না বেরনোই ভাল।
চুলকুনি এবং ইউরিনারি সমস্যা:- সূর্যের তাপে এবং বাতাসের কারণে চুলকানি বাচ্চাদের শরীরে খুব সাধারণ। এছাড়াও জলের অভাবে ইউরিনারি সমস্যাও কিন্তু দেখতে পাওয়া যায়। জলের অভাবে কিডনির ইনফেকশন এবং ব্লাডারের সমস্যা গরমে কিন্তু হতেই পারে। তাই ফলের রস কিংবা জল ছাড়া একেবারেই থাকবেন না।।