মন্দিরের সামনে বিশাল চত্বরে। যা অসংখ্য গাছ-গাছালিতে ভরা। আর, মন্দির চত্বরে মূল মন্দিরের প্রায় পাশেই রয়েছে জ্যোতিশ্বরানন্দ আই ফাউন্ডেশন। যেখানে বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষা, ছানি অপারেশন, ডায়াবেটিক ক্যাম্প, মেডিসিন, হোমিও ও স্বাস্থ্য শিবির বসে। ২০০৮ সালে এই মঠের উদ্বোধন হয়েছে। কলকাতায় শংকর মঠ ও মিশনের আরও চারটি মঠ আছে। পাশাপাশি রয়েছে ইংরেজি মাধ্যমের প্রাথমিক স্কুল। সঙ্গে ৫০ টাকা দিয়ে ভোগপ্রসাদের ব্যবস্থাও আছে। মন্দিরের গর্ভগৃহে সবার ওপরে বেদীর ওপরে রয়েছে ওঁ-এর ধাতব আকৃতি। তার সামনে আছে শিবলিঙ্গ। যার পাশে আছে নন্দী আর পিছনে ত্রিশূল। গর্ভগৃহের সামনে নাটমন্দিরে রয়েছে আটটি পিলার। নাটমন্দিরের ওপরের কারুকার্যও দেখার মত। নাটমন্দিরে প্রবেশের জন্য রয়েছে তিনটি দরজা।
সমাধিস্থল
গর্ভগৃহের সামনে বাঁ পাশে সিংহাসনে রয়েছে স্বামী জ্যোতিশ্বরানন্দ গিরি মহারাজের ছবি। গর্ভগৃহের পাশে দরজা দিয়ে নীচে যাওয়া যায়। সেখানে রয়েছে জ্যোতিশ্বরানন্দ গিরি মহারাজের সমাধি। গোটা মন্দিরের চারপাশে রয়েছে একটি বারান্দা। সেই বারান্দা দিয়ে মন্দির পরিক্রমা করেন ভক্তরা। মন্দির চত্বরে রয়েছে একটি গোশালাও। দুপুর একটা নাগাদ ঘণ্টা বাজানোর পর ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। ভোগপ্রসাদ পেতে গেলে আসতে হয় সকাল ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে। এই মঠ ও মিশনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে ফোন করতে পারেন (০৩৩) ২৫৬২ ৪৯৪৯ নম্বরে। থালা রাখা থাকে। ভক্তদের নিজেদেরকেই থালা নিয়ে নিতে হয়। প্রসাদের মধ্যে থাকে ভাত, ডাল ও দুটো তরকারি।
আরও পড়ুন- এবার দেবী দুর্গার আগমন-গমন কীসে? কী বার্তাবহক?
কীভাবে যাবেন
শিয়ালদহ থেকে ট্রেন ধরে চলে আসুন বারাসত রেল স্টেশনে। সেখানে এক নম্বর প্ল্যাটফর্মের টিকিট কাউন্টারের সামনে দিয়ে বের হয়ে টোটো ধরে নিন। চলে আসুন চাঁপাডালি মোড়ে। সময় লাগবে ১০ মিনিট। ভাড়া ১০ টাকা। চাঁপাডালি মোড় থেকে রাস্তা দুই ভাগে ভাগ হয়ে যাচ্ছে। একটি রাস্তা চলে যাচ্ছে বনগাঁর দিকে। অন্যটি যাচ্ছে টাকি হয়ে বসিরহাটের দিকে। চাঁপাডালি মোড় থেকে যেতে হবে টাকি-বসিরহাটের দিকে। আর গাড়ি নিয়ে আসলে মধ্যমগ্রাম হয়ে আসতে হবে বারাসত চাঁপাডালি মোড়ে। সেখান থেকে যেতে হবে টাকি বা বসিরহাটের দিকে। অথবা, চাঁপাডালি মোড়ে অটোয় উঠে বলতে হবে বারাসত বাস ডিপো স্টপেজে যাবেন। ভাড়া ১০ টাকা। বারাসত বাস ডিপোয় নামলেই দেখা যাবে শংকর মঠ ও মিশনের তোরণ। যেখানে লেখা আছে শ্রীকৃষ্ণপুর রোড। সেই তোরণের রাস্তা দিয়ে যেতে হবে। কিছুটা এগোলেই দেখা যাবে বিশাল এক শিবমূর্তি। যেটা আসলে একটা মন্দিরের ওপর রয়েছে। তার পাশের রাস্তা দিয়ে একটু এগোলেই দেখা যাবে শংকর মঠ ও মিশন। তোরণ থেকে সেখানে হেঁটে যেতে সময় লাগবে পাঁচ মিনিট।