নায়িকাদের শরীর স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য কত কাণ্ড না করতে হয়। একে তো ফিগার ঠিক রাখার জন্য খাবারের বিষয়ে নজর রাখতে হয়। সঠিক মাত্রায় খাবার না খেয়ে যদি অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যায়, তাহলে কিন্তু বেশি কিছু সমস্যার শিকার হতে পারেন সেই অভিনেত্রী। আর প্রসঙ্গে যখন সারা আলি খান, তখন একসময় নিজের ওজনের কারণে বেশ মুশকিলে পড়েছিলেন তিনি।
২৯ বছর বয়সী সারা আলি খান জানান, খাবারের ক্ষেত্রে তার 'দুঃখের জীবন' রয়েছে। সকালের রুটিন সম্পর্কে কেদারনাথ অভিনেত্রী বলেন, "আমার খাবারে, দুধ, চিনি এবং কার্বোহাইড্রেট নেই। খাবারের ক্ষেত্রে আমার একটি দুঃখজনক জীবন রয়েছে। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, 'আমি প্রায়ই হলুদ, পালং শাক ও গরম জল খাই। এখন দেখে নেওয়া যাক আদৌ হলুদ এবং পালং শাকের জলের কোনও উপকারিতা রয়েছে কিনা এবং যদি কার্বোহাইড্রেট এড়িয়ে যাওয়া যায় তাহলে কী হতে পারে?
কনসালট্যান্ট ডায়েটিশিয়ান এবং সার্টিফাইড ডায়াবেটিস এডুকেটর কানিক্কা মালহোত্রা বলেন, হলুদ এবং পালং শাকের জল পান করা উভয় উপাদানের শক্তিশালী বৈশিষ্ট্যের কারণে প্রচুর স্বাস্থ্য উপকার দেয়। কারকিউমিন সমৃদ্ধ হলুদ অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি প্রভাব সরবরাহ করে। এর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টগুলি কোষগুলিকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে, পাশাপাশি হার্টের স্বাস্থ্যকে সমর্থন করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।"
আর পালং শাক ইমিউনিটি বাড়াতে কতটা সাহায্য করে সেকথা করোনার সময় প্রচুর চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন। পালং শাক প্রয়োজনীয় ভিটামিন এ, সি, কে এবং আয়রন এবং ক্যালসিয়ামের মতো খনিজগুলিতে ভরা থাকে, এটি একটি পুষ্টির পাওয়ার হাউস। তিনি জানিয়েছেন, পালং শাক তার পটাসিয়াম সামগ্রীর সাথে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। একসাথে, হলুদ এবং পালং শাক একটি শক্তিশালী পানীয় তৈরি করে যা হজমশক্তি বাড়ায়, ত্বকের উন্নতি করে এবং সামগ্রিক সুস্থতায় অবদান রাখে।
তবে, এর জল পান করার আগে পালং শাক ভালভাবে পরিষ্কার করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। যদিও বা, নো-সুগার ডায়েট বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি হ্রাস করে এবং সামগ্রিক সুস্থতা বাড়িয়ে স্বাস্থ্যের উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নতি করতে পারে। অতিরিক্ত চিনি গ্রহণ স্থূলত্ব, টাইপ ২ ডায়াবেটিস, হৃদরোগ বাড়িয়ে দিতে পারে।