"জয় জয়দেবী
চরাচর সারে,
কুচযুগশোভিত
মুক্তাহারে।
বীনারঞ্জিত পুস্তক
হস্তে,
ভগবতী ভারতী দেবী নমহস্তুতে"
বাংলার ঘরে ঘরে আগামী দু'দিন উচ্চারিত হবে এই মন্ত্র। রাত পোহালেই সরস্বতী পুজো। বাংলার প্রায় প্রতিটা ঘরেই ছোট হোক, বড় হোক, বিদ্যেবতীর পুজো হয়েই থাকে। স্কুল-কলেজ-অফিস-কাছারিতে তো হয়ই। অথচ একটু ভালো করে খেয়াল করলে দেখা যাবে দেশজুড়ে বিদ্যাদেবীর মন্দির কিন্তু রয়েছে হাতে গোনা।
জেনে নেওয়া যাক সেরকম কিছু বাগদেবীর মন্দিরের কথা।
মাইহারের শারদা দেবীর মন্দির
মধ্যপ্রদেশের সাতানা জেলার চিত্রকুটের মাইহারে এই মন্দির। স্থানীয়রা একে মাইহার দেবীর মন্দিরও বলেন। পাহারের ওপরে ১০৬৩টি ধাপ চড়ে তবেই দেবীর দর্শন পেতে হয়। বয়স্ক দর্শনার্থীদের জন্য রয়েছে রোপওয়ে পরিষেবা। বসন্ত পঞ্চমীতে নিয়ম করে পুজো হয় এখনও। প্রসাদ থাকে পুডিং।
পুষ্করের সরস্বতীর মন্দির
পুষ্করের সরস্বতী মন্দির
পুষ্করেই বিশ্বের একমাত্র ব্রহ্মা মন্দিরটি অবস্থিত। স্বাভাবিক ভাবেই ব্রহ্মাপত্নী সরস্বতীর মন্দিরও রয়েছে ব্রহ্মা মন্দিরের পাশেই।
শ্রীঙ্গেরির শরদম্বা মন্দির
শ্রীঙ্গেরি শরদম্বা মন্দির
দক্ষিণ ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের চিকমাগালুরে শ্রীঙ্গেরি শরদম্বা মন্দির অবস্থিত। তুঙ্গভদ্রা নদীর তীরে এই মন্দির। চতুর্দশ শতাব্দীতে তৈরি সরস্বতীর মূর্তিটি চন্দন কাঠের। মুর্তির গায়ের গয়না সব সোনা আর দামী পাথরের।
কেরালার কোট্টায়ামের সরস্বতীর মন্দির
কোট্টায়ামের পানাচিক্কাদু মন্দির
স্থানীয়দের বিশ্বাস, কেরালার এই মন্দিরের অদৃশ্য যক্ষী রয়েছে। এমনিতে বছরভর দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকে এই মন্দির। তবে আসল উদযাপন হয় নবরাত্রির সময়।
বাসারের জ্ঞান সরস্বতীর মন্দির
পুরাণ মতে প্রচলিত রয়েছে ৫০০০ বছর আগে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের পর গোদাবরীর তীরে থাকতেন বেদব্যাস আর বিশ্বামিত্র । গোদাবরীর তীরেই ধ্যানে বসতেন তাঁরা। পরে রাজা বিজিয়ালুড়ু তাঁদের জন্য এক মন্দির তৈরি করেন। শিশুদের হাতেখড়ির জন্য।