/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/15/sarat-chandra-3-2025-09-15-03-24-39.jpg)
Sarat Chandra Chattopadhyay: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/15/sarat-chandra-1-2025-09-15-03-25-11.jpg)
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
Bengali Writer: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এক অনন্য নাম। রবীন্দ্রনাথ বা তারাশঙ্করের মতো জমিদার পরিবারে জন্ম নয়, আবার বঙ্কিমচন্দ্রের মতো উচ্চপদস্থ চাকরিজীবীও নন তিনি। জীবনের একাধিক পর্যায়ে আর্থিক সংকট তাঁকে তাড়া করেছিল। তবুও নিজের সাহিত্যসাধনার মধ্য দিয়ে তিনি প্রমাণ করেছিলেন—সাহিত্যও হতে পারে জীবিকা।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/15/sarat-chandra-2-2025-09-15-03-25-44.jpg)
জীবনের শুরু ও সংগ্রাম
১৮৭৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর হুগলি জেলার দেবানন্দপুর গ্রামে শরৎচন্দ্রের জন্ম। তাঁর পিতা মতিলাল চট্টোপাধ্যায় ছিলেন সাধারণ মানুষ, সংসারে প্রায়ই অর্থকষ্ট দেখা দিত। ভাগলপুরে মাতুলালয়ে বেড়ে ওঠেন শরৎচন্দ্র। স্কুলজীবনেই তাঁর লেখালিখির হাতেখড়ি। কিন্তু আর্থিক কারণে উচ্চশিক্ষা চালিয়ে যেতে পারেননি।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/15/sarat-chandra-4-2025-09-15-03-26-37.jpg)
বার্মায় কর্মজীবন ও সাহিত্যচর্চা
চাকরির প্রয়োজনে তিনি সুদূর বার্মা গিয়েছিলেন। সেখানেও তিনি লেখালিখি চালিয়ে যান। তাঁর লেখা বড়দিদি, দত্তা, দেনাপাওনা ইত্যাদি উপন্যাস প্রকাশিত হতে শুরু করে এবং ধীরে ধীরে তিনি জনমানসে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/15/sarat-chandra-5-2025-09-15-03-28-19.jpg)
বাংলা সাহিত্যে নতুন দিশা
শরৎচন্দ্রের সাহিত্য সাধারণ মানুষের গল্প। পথের দাবি থেকে শ্রীকান্ত, দেবদাস থেকে পরিণীতা—সবকটি উপন্যাসই মানুষের হৃদয়ে আজও সমান জনপ্রিয়। তাঁর লেখার সহজ-সরল ভঙ্গি, আবেগঘন কাহিনি, এবং সামাজিক সমস্যার সরল উপস্থাপন তাঁকে বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছিল। তিনি ছিলেন সম্ভবত প্রথম বাঙালি লেখক যিনি লেখালিখিকে জীবিকা হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। জনপ্রিয় লেখক হয়েও নিজের সাহিত্য থেকে উপার্জিত অর্থে সচ্ছল জীবনযাপন সম্ভব—এ দৃষ্টান্ত তিনিই প্রথম স্থাপন করেছিলেন।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/15/sarat-chandra-6-2025-09-15-03-31-55.jpg)
সামতাবেড়ের বাড়ি ও দেউলটি
হাওড়া জেলার সামতাবেড় গ্রামে তাঁর বাড়ি ছিল সাহিত্যপ্রেমীদের এক মিলনক্ষেত্র। বাড়ির জানালা থেকে দেখা যেত রূপনারায়ণের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। সেই বাড়িতে তাঁর ইজি চেয়ারের পাশে থাকত একটি চরকা, যা স্বদেশি আন্দোলনের প্রতীক। এখন দাবি উঠেছে, কাছের দেউলটি স্টেশনের নামকরণ করা হোক ‘শরৎচন্দ্র স্টেশন’। কারণ দেউলটির নাম শুনলেই সাধারণ মানুষ শুধু রূপনারায়ণ নদী বা কোলাঘাট নয়, শরৎচন্দ্রকেও মনে করে।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/15/sarat-chandra-7-2025-09-15-03-34-22.jpg)
মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত
জীবনে বহু কষ্ট পেলেও মৃত্যুর সময় তিনি ছিলেন দক্ষিণ কলকাতার অভিজাত পার্ক ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন। ১৯৩৮ সালের ১৬ জানুয়ারি তাঁর মৃত্যু হয়। আজও তিনি বাঙালির হৃদয়ে চিরজাগরুক।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/15/sarat-chandra-8-2025-09-15-03-36-45.jpg)
শরৎচন্দ্রের কৃতিত্ব
শরৎচন্দ্র শুধু বাংলা নয়, ভারতীয় সাহিত্যের সর্বাধিক অনূদিত লেখক। তাঁর রচনাই সর্বাধিকবার চলচ্চিত্রে রূপায়িত হয়েছে। তাই দেউলটি স্টেশনের সঙ্গে তাঁর নাম জুড়ে দিলে সেটি হবে তাঁর প্রতি এক সাংস্কৃতিক সম্মান এবং বর্তমান প্রজন্মের কাছে ইতিহাসের নতুন পরিচয়।
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
Follow Us