বৃন্দাবন দর্শনের জন্য উত্তরপ্রদেশে ছোটার দিন ফুরল। এবার বাংলার মাটিতেই গড়ে উঠেছে আস্ত বৃন্দাবন। যাকে দ্বিতীয় বৃন্দাবন বলা হচ্ছে। শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ নয়। বাংলার বাইরে থেকেও প্রতিদিন অজস্র ভক্ত আসছেন এই মন্দিরে। বৃন্দাবন যাওয়ার সাধ তো আমাদের সবারই থাকে। কারণ, তা শ্রীকৃষ্ণের লীলাভূমি। কিন্তু, সেই সাধ নানা কারণে পূরণ হয় না। তাই এই দ্বিতীয় বৃন্দাবন তৈরি করা হয়েছে।
লালমাটির জেলা বাঁকুড়ার তালড্যাংরা ব্লকের পাঁচমুড়ায় গড়ে উঠেছে এই দ্বিতীয় বৃন্দাবন মন্দির। টেরাকোটা শিল্পের জন্য এই অঞ্চল বিখ্যাত। তার পাশাপাশি এবার দ্বিতীয় বৃন্দাবনের জন্য পাঁচমুড়ার নাম নানা দিকে ছড়িয়ে পড়ছে। পাঁচমুড়া থেকে বিষ্ণুপুর যাওয়ার পাশের রাস্তায় গড়ে উঠেছে এই মন্দির। নাম দেওয়া হয়েছে ত্রিধারা মিলন মন্দির। মন্দিরটি তৈরি করিয়েছেন স্থানীয় এক ব্যবসায়ী তথা সমাজকর্মী।
মূল মন্দিরের ভিতরে রয়েছে রাধাকৃষ্ণের অপূর্ব সুন্দর এক মন্দির। তার পাশে তৈরি করা হয়েছে একটি কালীমন্দির। মূল মন্দিরের পাশে আরও দুটি মন্দির রয়েছে। তার মধ্যে একটি মহাদেবের মন্দির। অন্যটি রামমন্দির। মূল মন্দিরে ওঠার জন্য দু'দিক থেকে সিঁড়ি আছে। বেশ কয়েকটি সিঁড়ি এগোলেই পাশে পড়বে একটি তুলসীমঞ্চ। সিঁড়ি দিয়ে ওঠার পর প্রথমে পড়বে মূল রাধাকৃষ্ণের মন্দির। এই রাধাকৃষ্ণ মন্দিরে ঢোকার আগের সিলিংটি সেগুন কাঠ দিয়ে তৈরি আর অপূর্ব কারুকার্যখচিত। সিলিংয়ের মধ্যে রয়েছে এক অপরূপ সুন্দর ঝাড়বাতি। যা সিলিংয়ের সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
আরও পড়ুন- পূরণ হয় মনস্কামনা, দেবী না-ডাকলে যে মন্দিরে আসতে পারেন না ভক্ত
ভক্তদের জন্য ২০২২ সালের রথযাত্রায় এই মন্দিরের চাকা গড়ানো শুরু হয়েছিল। মন্দির কর্তৃপক্ষ রথের পাশপাশি ঝুলন, দোলযাত্রা, রাসযাত্রা, জন্মাষ্টমীর মত রাধাকৃষ্ণের উৎসবগুলোও এই মন্দিরে বড় আকারে পালিত হবে বলে জানিয়েছে। ভক্তদের জন্য এখানে কুপন কেটে দুপুরের প্রসাদ খাওয়ানোর ব্যবস্থাও আছে। আপাতত প্রথম ৬০০ জন এই প্রসাদ পাচ্ছেন বলেই জানিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। এই মন্দির চত্বরের বাইরে আশপাশের ফাঁকা অংশ এখনও কাজ চলছে। সেখানে তৈরি হবে বিশাল উদ্যান। তৈরি হবে বিশাল আকারের শিবের মূর্তি। সেখানে শিবের জটা থেকে বেরিয়ে আসবে নদী।