সারাদিনে অনেকেই অনেক রকমের খাবার খান। এর-ওর কথা শুনে সবকিছুই খেয়ে দেখেন। আদৌ উপকার কতটা মেলে সেই নিয়ে বেজায় সন্দেহ আছে। তারপরেও এতে কোনও খামতি নেই। কিন্তু খাদ্যবীজ গুলি কিন্তু আপনার শরীরে দারুন কাজে আসতে পারে। বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে।
Advertisment
পুষ্টিবিদ ডা ডিকসা ভাবসর বলেন, খাদ্য বীজের সেবন কিন্তু নির্দিষ্ট উপায়েই করতে হয়। এবং ঋতুস্রাবের পূর্ব ও পরবর্তী সময়ের ওপর নির্ধারিত। এর দুই পর্যায়ে দুই ধরনের হরমোন শারীরিকভাবে নিঃসৃত হতে থাকে। প্রথম ধাপে ইস্ট্রোজেন এবং দ্বিতীয় ধাপে প্রজেস্টেরন। এবং এই হরমোনগুলো যাতে সঠিক পরিমাণে শারীরিক ভাবে ক্ষরণ হতে পারে, তথা পরবর্তী মাসে সমস্যা না ঘটায় সেই কারণেই কিন্তু সেবন করা উচিত।
একটু বিস্তারিত দেখলে জানা যাবে, এমন অনেকেই আছেন যাদের অনেক বছর ধরেই হরমোনের সমস্যা এবং প্রতিনিয়ত ভুগছেন। ঋতুচক্রের প্রথম পর্যায় অর্থাৎ প্রথম দিন থেকে ১৪তম দিন হল ফলিকিউলার ফেস এবং ১৫ থেকে ২৮তম দিন হল লিউটিআল ফেস। যখনই আপনার হরমোনের সমস্যা দেখা দেবে তখনই কিন্তু অনিয়মিত ঋতুস্রাব, ক্র্যাম্প, পি সি ও এস, ব্রণ, খিদের অভাব এগুলি দেখা যায়।
সেই কারণেই প্রথম ১৩-১৪ দিন খেতে হবে ফ্লাক্স বীজ এবং কুমড়োর বীজ। পরের ১৪ দিন খেতে হবে সূর্যমুখী এবং তিলের বীজ। এমনকি মেনোপজের পরবর্তী সময়েও এটি খাওয়া খুবই ভাল। প্রথমেই দেখে নি ফ্লাক্স বীজ এবং কুমড়োর বীজ থেকে আপনি কী উপকার পেতে পারেন? এই দুটির সেবনে ইস্ট্রোজেন সঠিক মাত্রায় ক্ষরণ হয় এবং সঙ্গেই ফ্লাক্স বীজে উপস্থিত লিগ্নন্স শরীরে উন্নত মানের ইস্ট্রোজেন সরবরাহ করে। কুমড়োর বীজ দারুন জিঙ্ক সমৃদ্ধ ফলেই প্রজেস্টেরন ক্ষরণে সহায়তা করে।
এবার জেনে নিই সূর্যমুখী এবং তিলের বীজ খেলে আপনার কীভাবে উপকার পাবেন? তিলের বীজ জিঙ্ক সমৃদ্ধ, এবং এতে প্রোজেস্টেরনের ক্ষরণ সঠিক হয়, যেটি দ্বিতীয় ধাপে দরকার। সূর্যমুখী বীজ ভিটামিন-ই এবং সেলেনিয়াম সমৃদ্ধ। সেলেনিয়াম পরবর্তীতে অত্যধিক ইস্ট্রোজেনের ক্ষরণ রোধ করে। তাই এগুলি খেলে আপনারই ভাল।
শুধু তাই নয়, ব্রণ থেকে খিদে বাড়ানো এবং মেটাবোলিজম বৃদ্ধি সঙ্গে বন্ধাত্ব থেকে মুক্তি, থাইরয়েডের সমস্যা থেকে রেহাই কিন্তু আপনি এই খাদ্য বীজের সেবনে পেতে পারেন। ফলে অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি থেকে চোখের দৃষ্টিশক্তি এবং চুল পড়ার সমস্যাও কমে। তাহলে একটু ভেবে চিন্তে কিন্তু এর সেবন শুরু করতে পারেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন