Advertisment

এই তীর্থস্থানের দেবী ভক্তের প্রার্থনা ফেরান না, লাগোয়া পুকুরে স্নানে হয় রোগমুক্তি

মূর্তির পাশে রয়েছে কষ্টিপাথরের আট হাতের গণেশ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
bahula satipeeth

এই তীর্থস্থান এক সতীপীঠ। বিষ্ণুর চক্রে খণ্ডিত দেবী সতীর দেহাংশ পড়েছিল বিভিন্ন স্থানে। সেই ৫১ পীঠের অন্যতম এই পীঠ। শক্তিসাধনার কেন্দ্র হিসেবে এই পীঠের গুরুত্ব সাধকদের কাছে অপরিসীম। কারণ, এখানে দেবী ভক্তের মনোবাঞ্ছা পূরণ করেন। দূর-দূরান্ত থেকে আসা ভক্তদের নিরাশ হয়ে ফিরতে হয় না। শুধু তাই না। এই পীঠের সংলগ্ন পুকুর আছে। যেখানে স্নান করলে রোগ-ব্যাধি সেরে যায় বলেই বিশ্বাস ভক্তদের।

Advertisment

পীঠনির্ণয় তন্ত্র মতে এই পীঠে দেবী সতীর বাম বাহু পড়েছিল। বাহু থেকে এখানে দেবীর নাম বহুলা। ভৈরবের নাম ভীরুক। তন্ত্র মতে এই দেবী সর্বসিদ্ধি প্রদানকারী। প্রাণতোষণী তন্ত্রেও এই দেবীর ভৈরবের নাম পাওয়া গিয়েছে। বহুলার মন্দির থাকায় এই শক্তিপীঠের নাম হয়েছে বেহুলা। ভারতচন্দ্রের অন্নদামণ্ডল কাব্য অনুযায়ী, 'বাহুলায় বামবাহু ফেলিলা কেশব। বাহুলা চণ্ডীকা তাহে ভীরুক ভৈরব।' অজয় নদের তীরে এই পীঠ। আগে এই গ্রামের নাম ছিল বাহুলা। কিন্তু, রাজা চন্দ্রকেতুর নামানুসারে গ্রামের নাম হয়েছে কেতুগ্রাম। কাটোয়ার কাছে এই কেতুগ্রাম অবস্থিত।

আরও পড়ুন- আইনি লড়াই থেকে খেলাধুলো অথবা শিক্ষা, যে সতীপীঠে মিলতে পারে জয়ের আশীর্বাদ

বহুলা মন্দিরে কালো পাথরের ওপর রয়েছে দেবীর মূর্তিটি। মুখ বাদে দেবীর গোটা শরীর বস্ত্র দিয়ে ঢাকা রয়েছে। দেবী ত্রিনয়নী ও চতুর্ভুজা দুর্গা। মূর্তির পাশে রয়েছে কষ্টিপাথরের আট হাতের গণেশ। কেতুগ্রাম থেকে তিন কিলোমিটার দূরে শ্রীখণ্ড গ্রাম। সেখানেই মিলেছে দেবী বহুলার ভৈরব ভীরুকের লিঙ্গ। ভক্তদের বিশ্বাস, কেতুগ্রামে দেবী বহুলা স্বামী-পুত্র নিয়ে বাস করেন।

এখানে প্রতিদিন দেবীকে অন্নভোগ দেওয়া হয়। নবরাত্রির সময় খুব ভিড় হয়। দুর্গাপুজোর মহানবমীতে থাকে বিশেষ পুজোর আয়োজন। দোলের সময় একসপ্তাহ ধরে চলে উৎসব। শিবরাত্রির সময়ও ভক্তদের ভিড় জমে এই মন্দিরে। দেবী বহুলার মন্দিরের পাশেই রয়েছে একটু পুকুর। ভক্তদের বিশ্বাস, এই পুকুরে স্নান করলে বহু রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আর, সেই সব কারণে দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা ভিড় করেন কেতুগ্রামের এই মন্দিরে।

Durga Puja lord ganesha Temple
Advertisment