Kali Temple: দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন ভক্তরা, মনস্কামনা হয় পূর্ণ, দেবী নিস্তারিণীর আকর্ষণ অমোঘ

Nistarini Kali Bari: রাজা হরিশ্চন্দ্র রায় ১৮২৭ সালে এই দক্ষিণকালিকা মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই মন্দির এবং বিগ্রহ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।

Nistarini Kali Bari: রাজা হরিশ্চন্দ্র রায় ১৮২৭ সালে এই দক্ষিণকালিকা মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই মন্দির এবং বিগ্রহ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।

author-image
Chinmoy Bhattacharjee
New Update
Nistarini Kali Bari

Nistarini Kali Bari: নিস্তারিণী কালী মন্দির।

Sheoraphuli Nistarini Kali Temple: বাংলার মাটিতে বহু প্রাচীন দেবদেবীর মন্দির ছড়িয়ে আছে, যার মধ্যে অন্যতম হল শেওড়াফুলি নিস্তারিণী কালীবাড়ি। প্রায় দুই শতাব্দী আগে গঙ্গার তীরবর্তী সাড়াপুলি (বর্তমান শেওড়াফুলি) গ্রামে প্রতিষ্ঠিত এই মন্দির আজও ভক্তসমাজের কাছে সমান শ্রদ্ধেয়।

Advertisment

১৮২৭ খ্রিস্টাব্দে (বাংলা ১২৩৪ সন, জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথি) শেওড়াফুলি রাজবংশের রাজা হরিশ্চন্দ্র রায় এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। কথিত আছে, রাজপরিবারে তাঁর প্রথম স্ত্রী সর্বমঙ্গলা দেবীর অকালমৃত্যুর পর, আত্মার শান্তির জন্য রাজা পণ্ডিতদের নির্দেশ মেনে এই নিস্তারিণী কালী মন্দির নির্মাণ করিয়েছিলেন। শেওড়াফুলি রাজপরিবারের আদি নিবাস ছিল বর্ধমান জেলার পাটুলি-নারায়ণপুর। সেখানকার আরাধ্য দেবদেবীর কয়েকটি প্রাচীন বিগ্রহও এই মন্দিরে আছে।

আরও পড়ুন- পিতৃপুরুষের দোষে পরিবারে অশান্তি? শাস্ত্রমতে দোষ কাটান এভাবে সহজেই!

Advertisment

মন্দিরটি বেদির উপর প্রতিষ্ঠিত এবং দক্ষিণমুখী। এটি সমতল ছাদযুক্ত দালান, যার সামনের দিকে সাতটি খিলান ও দুই পাশে পাঁচটি খিলান রয়েছে। এই সমস্ত খিলান কলাগেছ্যা ধাঁচের স্থাপত্যে থামের ওপর নির্মিত। গর্ভগৃহের সামনে রয়েছে অলিন্দ। মন্দিরে প্রবেশের জন্য দুটি প্রধান দরজা আছে। মূল মন্দিরের ঘরে দেবী নিস্তারিণী কালী বিরাজমান, আর পাশের দুটি ঘরে শ্বেতপাথরের শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠিত। এখানে দেবী কালিকার রূপই পূজিতা হন 'নিস্তারিণী মা' নামে। এই বিগ্রহ প্রচলিত কালী মূর্তির থেকে আলাদা, এই মূর্তিতে দেবীর হাতে খাড়ার পরিবর্তে থাকে তলোয়ার। দেবী অষ্টকলপদ্মের ওপর বিরাজমান।

আরও পড়ুন- ১৬ না ১৭ সেপ্টেম্বর, কবে ইন্দিরা একাদশী? পালনে অবাক করা লাভ

দুর্গারও বিগ্রহ

আরও পড়ুন- মৃত্যুশয্যাতেও ছিলেন আপসহীন! বাঘা যতীনের বীরত্বে মুগ্ধ হয়েছিলেন চার্লস টেগার্টও

পাশের ঘরে রয়েছে মহিষাসুরমর্দিনী দুর্গার বিগ্রহ। এছাড়াও মন্দিরে কৃষ্ণ, গোপাল, লক্ষ্মী, গণেশ এবং শ্বেতপাথরের দেবী অন্নপূর্ণার বিগ্রহ প্রতিষ্ঠিত। কৃষ্ণপূজার একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল—এখানে কৃষ্ণের সঙ্গে রাধার পূজা হয় না। মন্দিরের দেওয়ালে একটি পাথরের ফলক আছে। যেখানে রাজপরিবার ও মন্দির প্রতিষ্ঠার তথ্য খোদাই করা আছে। এতে উল্লেখ আছে যে, শেওড়াফুলি রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা রাজা মনোহর রায়ের বংশধর রাজা হরিশ্চন্দ্র রায় এই মন্দির নির্মাণ করেছিলেন। 

আরও পড়ুন- বিশ্বকর্মা পুজো থেকে সুফল চান? এই নিয়মগুলি মানতে হবে কিন্তু!

শেওড়াফুলি রাজপরিবার আজও এই মন্দিরের দেবসেবা ও পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে আসছে। রাজপরিবারের ঐতিহ্য এবং ভক্তদের আস্থা আজও এই মন্দিরের প্রাণশক্তি। প্রতিদিন ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এখানে নিয়মিত পূজা হয়। দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা এসে দেবীর দর্শন করেন। বিশেষ করে কালীপুজো ও দুর্গাপুজোর সময় মন্দির প্রাঙ্গণে ভক্তদের ভিড় উপচে পড়ে।

Kali Temple