এই মন্দির একবার দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যায়। মনে হতে বাধ্য, আবার যাই। আর, জায়গাটাও শহর কলকাতার খুব কাছে সোদপুরে। সড়ক পথে আসতে হলে ব্যারাকপুরগামী যে কোনও বাস ধরে সোদপুর গির্জা বাস স্টপেজে নামতে হবে। রাস্তার পাশেই মন্দির।
ট্রেনে আসতে হলে সোদপুর স্টেশনে নেমে সেখান থেকে পাঁচ মিনিটের হাঁটাপথে চলে আসতে হবে সোদপুর-বিটি রোড ট্রাফিক মোড়ে। সেখান থেকে ব্যারাকপুরমুখী অটো ধরে নামতে হবে গির্জা স্টপেজে। মেট্রোয় আসতে হলে নামতে হবে বরাহনগর স্টেশনে। সেখান থেকে খড়দা অথবা ব্যারাকপুরগামী অটোয় চেপে নামতে হবে গির্জা স্টপেজে।
মন্দিরে প্রবেশের আগেই বাইরে বেশ কিছু দোকান রয়েছে, যেখান থেকে পুজোর ডালা সংগ্রহ করতে হয়। এখান থেকে ফুল, মিষ্টি-সহ অন্যান্য পুজোর জিনিস তো পাওয়া যায়ই। পাশাপাশি, দোকানেই বিনে পয়সায় জুতোও রেখে যাওয়া যায়। এছাড়াও এই সব দোকানে সাঁইবাবার বেশ কিছু ছোট মোমেন্টো-সহ নানা জিনিসপত্র রয়েছে, যেগুলো স্মৃতি হিসেবে অনেকে কিনে নিয়ে যান।
নিয়মাবলি অনুযায়ী, মন্দির খোলা থাকবে সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা ৩০ পর্যন্ত। আর, দুপুর ৩টে থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। এছাড়া এখানে দিনে চারবার আরতি হয়। সকাল ৬টায়, দুপুর ১২টায়, সন্ধ্যা ৫টা ৩০-এ ও রাত ৮টা ৩০-এ। এখানকার আরতি দেখলে মন জুড়িয়ে যেতে বাধ্য।
আরও পড়ুন- দেবী মনস্কামনা অপূর্ণ রাখেন না, ৫০০ বছরের প্রাচীন মন্দির সম্পর্কে বিশ্বাস ভক্তদের
পুজো দেওয়ার জন্য মন্দিরের পাশ দিয়েই সুন্দর পথনির্দেশ করা রয়েছে। সেই ভাবেই এখানে লাইন দিয়ে মূল গর্ভগৃহের ঠিক সামনে এসে ভক্তরা পুজো দিতে পারবেন। সাঁইবাবার মূর্তির ঠিক সামনে রয়েছে চরণপাদুকা। যা ভক্তদের দর্শনের জন্য রাখা থাকে। মন্দিরের দুই ধারের দেওয়ালে রয়েছে, সাঁইবাবার জীবনের সঙ্গে জড়িত বিশেষ কিছু মুহূর্তের ছবি। মন্দির প্রাঙ্গণে হাত ধোওয়ার জন্য জলের ব্যবস্থাও রয়েছে। আরতির পরে মন্দিরের বাইরে ছোট্ট একটি ভাণ্ডারার ব্যবস্থা করা হয়। যেখান থেকে ভক্তরা প্রসাদ পেতে পারেন।