অতিরিক্ত রাত জাগা থেকে শুরু করে দিনের বেশিরভাগ সময় মোবাইল ঘাটা চোখের ওপর গিয়ে ভীষণ মাত্রায় প্রেসার পড়ছে এবং এর থেকে ক্রমশই চোখের নিচে গজাচ্ছে পাতলা চামড়া এবং সেই থেকে ডার্ক সার্কেল। বেশি কিছুই না এটি আপনার মুখের সৌন্দর্যে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। তবে এর থেকে রেহাই পাওয়া এমন কিছুই বেশি কাজ নয়।
কথায় বলে এর থেকে সমাধানের সবথেকে ভাল পথ লেসার ট্রিটমেন্ট কিন্তু তারপরেও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ন বিষয় আছে যেগুলি মেনে চললে বা জেনে রাখলে কিন্তু আপনি সহজেই ছুটকরা পাবেন। ডার্মাটোলজিস্ট মাধুরী আগরওয়াল বলেন, বেশ কিছু অজানা অচেনা তথ্য আছে যেটি অনেকেই জানেন না। ফলেই বিভ্রান্ত হন এর থেকে, তাই সত্যতা জানা খুব জরুরি।
প্রথমত, চোখের চারিপাশের অংশ দেহের অন্যান্য অঙ্গের মত নয় তাই একে বিবেচনা করতে হবে সিল্ক মেটেরিয়াল ভেবে। যেভাবে আলতো হাতে সেটিকে অনুভব করেন এটিকেও বেশ আলতো হাতে কেয়ারে রাখতে হবে। বেশি ঘষাঘষি হলে চলবে না।
দ্বিতীয়ত, অ্যালার্জি থেকেও ডার্ক সার্কেল হতে পারে। কখনও কখনও তাকে 'অ্যালার্জিক শাইনার' বলা হয়। ডার্ক সার্কেল কিডনি এবং অ্যাড্রিনাল ভারসাম্যহীনতা নির্দেশ করতে পারে, যেমন উচ্চ চাপের মাত্রা এবং ঘুমের অভাব ইত্যাদির কারণে ডার্ক সার্কেল বাড়তে পারে তাই বিশ্রামের প্রয়োজন।
তৃতীয়ত, তিনি আরও জানান যে ধূমপান এবং অ্যালকোহল সেবনের ফলেও ডার্ক সার্কেল হতে পারে। মদ্যপান করলে চোখের নিচে রক্তনালীগুলি প্রসারিত হতে পারে, যার ফলে ডার্ক সার্কেলগুলি আরও বিশিষ্ট হয়ে ওঠে। অ্যালকোহল ঘুমকেও নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে, যা ডার্ক সার্কেলের মাত্রাকে আরও বাড়িয়ে তোলে। এছাড়া ধূমপানের কারণেও অতিরিক্ত ভাবে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। কলজেন কম নিঃসৃত হলে বেশি মাত্রায় চোখের নিচে ক্ষতি হয়।
চতুর্থত, মিলিয়া হল আপনার চোখের চারপাশে ছোট সাদা শক্ত দাগ, যা অনুন্নত বা অপরিণত সেবেসিয়াস গ্রন্থির কারণে গঠিত বলে বিশ্বাস করা হয়। এরা ছোট কেরাটিন ভর্তি সিস্টজাতীয় চোখের অংশ। এই ছোট্ট সিস্টগুলি ত্বকের নিচে আটকে যায় যা স্তেরেইলাইজিং পদ্ধতিতে বের করা যায়। এর থেকেও কিন্তু চোখের নিচের অংশ কালো হতে পারে তবে তার সংখ্যা খুব কম।
আরও পড়ুন < মাস্ক থেকে ব্রণ! কীভাবে যত্ন নেবেন? >
পঞ্চমত, বারবার চোখে হাত দিয়ে ডলা, চুলকানো, এগুলি খুব খারাপ। আপনার ঘন ঘন চোখ ঘষার অভ্যাস থাকলে পেরিওরিবিটাল মেলানোসিস বা ডার্ক সার্কেল প্রায়ই দেখা যায়। চোখের চারপাশের ত্বক খুবই পাতলা এবং কোমল। চোখের চারপাশের ক্রমাগত ঘর্ষণ নীচে সূক্ষ্ম রক্তনালীগুলি ভেঙে দেয় এবং হিমোসাইডারিন জমা হয় যার ফলে পিগমেন্টেশন হয়। এটির কারণেও নানান সমস্যা হতে পারে।
ডার্ক সার্কেল থেকে দূরত্ব রাখুন এবং দরকার পড়লে বিউটি প্রোডাক্ট থেকে থেরাপির সাহায্য নিন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন