শ্রাবণ মানেই স্বয়ং ভগবান শিবের মাস। এই মাসের প্রতিদিন মহাদেবের আরাধনায় রত হন তার ভক্তরা। মহাকালের নামে সবকিছু অর্পণ করেন তারা। তারকেশ্বর থেকে দেওঘর - কাঁধে বাঁক নিয়ে হাজারো পুণ্যার্থীরা মাইলের পর মাইল হেঁটে চলেন।
মহাদেবের পুজোয় একেবারেই আড়ম্বর নেই। শুধুই রাজ অভিষেকের মাধ্যমে তার প্রাণ প্রতিষ্ঠা - আর কথায় বলে শিব একটি বেল পাতাতেই তুষ্ট। এছাড়া আকন্দ কিংবা ধুতুরা ফল মহাদেবকে শ্রাবণ মাসে অর্পণ করলে দারুণ মঙ্গল।
মহাদেবকে অর্পণ করতে হয় হলুদ চন্দরের গুঁড়ি - শ্বেত চন্দনের সঙ্গে মিশিয়ে এটি করলে খুব ভাল। সেই ফোঁটা নিজের কপালে লাগিয়ে নিলেও ভাল। এছাড়া সোমবার করে ২১টি বেল পাতায় 'ওম নমঃ শিবায়' - লিখে বেলপাতা অর্পণ করলে সিদ্ধিলাভ হয়। মনে রাখবেন শ্রাবণে গঙ্গাজলে সিদ্ধি মিশিয়ে ভগবানকে শিবকে স্নান করাবেন। তাঁর সঙ্গেই নন্দীকে ভুলে গেলে একেবারেই চলবে না। তাকেও স্নান করিয়ে ফুল বেলপাতা অর্পণ করতে হবে।
সাদা ফুল - শ্রাবণে শিবের পুজোয় সবথেকে জরুরি। এবং মহাদেবের পুজোর শেষে মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র জপ করা আবশ্যিক। তারপর সূর্য প্রণাম করতে পারেন। লাল ফুলের সহযোগে সূর্য দেবার আরাধনা লাভদায়ক। মহাদেবকে তামার পাত্রে রাখলেও যখন অভিষেকের সময় তখন ধাতুর পাত্রে তুলে নিন। আতপ চাল নৈবেদ্য হিসেবে দিতেই পারেন। তবে শ্রাবণের সোমবার শিবের নামে অন্তত একটি প্রদীপ জ্বালানো খুবই ভাল।