Advertisment

কোলবালিশ, বাঙালির চিরন্তন দুর্বলতা, যাকে এড়াতে পারেন না এই সেলেবরাও!

কোলবালিশ নিয়ে বাঙালি আজও দুর্বল। বাঙালির এই চিরকালীন প্রেম নিয়ে প্রগলভ টলিপাড়ার খরাজ, মানসী, তনিমা, অপরাজিতা, বিশ্বনাথ, রজতাভরা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
kharaj mukherjee

আউটডোর শ্যুটিংয়েও কোলবালিশ নিয়ে যান খরাজ মুখোপাধ্যায়।

প্রিয় কোলবালিশ, দুপুরে ভাতঘুমের পরই হোক কিংবা রাত্তিরে ঘুমের সময়, তোমায় চাই-ই চাই। তোমাকে ছাড়া বাঙালির বিছানা অসম্পূর্ণ। পায়ে জড়িয়ে হোক বা হেলান দিয়ে, তুমি না থাকলে বাঙালি ঘুমিয়ে ঠিক সুখ পেত না। তুমি বাঙালির আরামের সঙ্গী। তুমি বাঙালির সুখ-দুঃখের অনুভূতি শেয়ার করারও সঙ্গী। তোমার প্রাণ না থেকেও আছে, তুমি বাঙালির সবচেয়ে কাছের মানুষ। তাই তোমাকে নিয়েই আমাদের এই বিশেষ নিবেদন।

Advertisment

হোক না তাঁরা সেলিব্রিটি, বাঙালি জাত বলে কথা, কোলবালিশ প্রীতি থাকবে না তা আবার হয় নাকি। টলিপাড়ায় খরাজ মুখোপাধ্যায়ের কোলবালিশ প্রেমের কথা রীতিমতো চর্চার বিষয়। যেখানেই যান তিনি সঙ্গে নিয়ে যান নিজের কোলবালিশ। “কোলবালিশ ছাড়া ঘুমোতে পারি না। আমার কোলবালিশ বিশাল বড়, বাইরে গেলেও ওটা নিয়ে যাই। বাঙালি যতই আধুনিক হোক না কেন, কোলবালিশকে ভুলতে পারবে না।” গড়গড় করে বললেন খরাজ মুখোপাধ্যায়।

tanima sen লাস ভেগাসে কোলবালিশ পেয়ে চমকে গিয়েছিলেন তনিমা সেন।

খরাজের মতোই কোলবালিশ নিয়ে আদিখ্যেতা তনিমা সেনেরও। যিনি আবার কোলবালিশ না পেলে, মাথার বালিশ বা কম্বলকেই কোলবালিশ বানান। ‘‘কোলবালিশ ছাড়া কিছুতেই ঘুম হয় না। ছোটোবেলায় দু’খানা কোলবালিশ দেওয়া হত আমায়, সেই অভ্যেস এখনও রয়ে গেছে। দেশের কোনও হোটেলে কোলবালিশ পাইনি। লাস ভেগাসে একবার একটি হোটেলে ২টি ছোটো কোলবালিশ দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম’’, খিলখিলিয়ে বললেন তনিমা সেন।

aparajita adhya কোলবালিশ প্রেমে মজে অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্যও।

আউটডোরে কোলবালিশ না পেলে মাথার বালিশকে কোলবালিশে পাল্টে নেওয়ার অভ্যেস আছে অপরাজিতা আঢ্যরও। আর পাঁচজন বাঙালির মতো তিনিও নিদ্রাবিলাসী। টলিপাড়ার এই ব্যস্ত অভিনেত্রী বললেন, ‘‘এখন তো মানুষ ছুটছে, ঘুমোনোর সময় কোথায়! ঘুমোয় না। কোলবালিশ নিয়ে ঘুম আমার বাবা-মায়ের শেখানো ছোটবেলার অভ্যেস। পৃথিবীর যে জায়গাতেই যাই না কেন কোলবালিশ খুঁজি।”

biswanath basu কোলবালিশ নিয়ে দুর্বলতা রয়েছে বিশ্বনাথ বসুরও।

কোলবালিশকে বহু যৌবনের বিচ্ছুরণের সাক্ষী বলে মানেন অভিনেতা বিশ্বনাথ বসু। তিনি মনে করেন, কোলবালিশের কোনও মৃত্যু নেই। বার্ধক্যে মানুষে-কোলবালিশে সম্পর্কের বদল ঘটে, উষ্ণতার সম্পর্ক তখন গভীরতর হয়।

publive-image কোলবালিশ প্রীতির কথা বললেন রজতাভ দত্ত।

কোলবালিশ নিয়ে আলাদা কিছু ভাবার বা বলার নেই  জনপ্রিয় অভিনেতা রজতাভ দত্তের। হলেও হয়, না হলেও হয়। তবে পায়ের তলার বালিশটা তাঁর চাই-ই।

manasi sinha মানসী সিনহার জ্যান্ত কোলবালিশ রয়েছে!

জ্যান্ত কোলবালিশই পেয়ে গেছেন মানসী সিনহা। “এখন আমার তুলোর কোলবালিশ লাগে না। আমার ছেলে ও মেয়ে আছে, ওদের জাপটে ঘুমোই।’’, হাসতে হাসতে বললেন মানসী। “ছোটবেলায় আমার পুচকি কোলবালিশ ছিল, ওকে ছাড়া থাকতে পারতাম না। আমি যেমন ছোটবেলা ভুলতে পারব না, তেমনই কোলবালিশকেও ভুলতে পারব না। কোলবালিশ, ভাতঘুম, নাক ডাকার মতো এই জিনিসগুলো বাদ না দেওয়াই ভাল।”

কোলবালিশ নিয়ে আপনার আছে নাকি রোমন্থন করার মত কোনও স্মৃতি, কিংবা কোনও আইডিয়া? শেয়ার করে ফেলুন আমাদের সঙ্গে। ইমেল করুন: iebangla@indianexpress.com

Advertisment