Independence Day 2019:
দু'শো বছরের ইংরেজ শাসনের শৃঙ্খল মুক্ত হয়ে ভারত স্বাধীনতা পেয়েছিল ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট। লালকেল্লা থেকে ১৫ অগাস্ট রাত ১২ টার সময় ভেসে এল জওহরলাল নেহরুর গলা..."মধ্যরাতে সারা পৃথিবী যখন ঘুমে মগ্ন, ভারত স্বাধীনতার মুখ দেখল"। লহরী গেট থেকে উঠল তেরঙ্গা। সেদিনের সেই সদ্যোজাত স্বাধীনতা আজ প্রবীণ নাগরিকত্ব পেয়েছে, বুড়িয়েছে অনেকটা। ৭৩ তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের প্রাক্কালে একবার ফিরে দেখা যাক ভারতের শৃঙ্খল মোচনের ইতিহাস।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে কী শুভেচ্ছা পাঠাবেন প্রিয়জনদের, জেনে নিন
পরাধীন ভারতের শেষ ভাইসরয় লর্ড মাউন্টব্যাটেনের চুক্তি অনুযায়ী ঠিক হল ব্রিটিশ পার্লামেন্টকে ১৯৪৮ এর ৩০ জুনের মধ্যে সব ক্ষমতা হস্তান্তরিত করতে হবে। ভাইসরয় কথা দিয়েছিলেন রক্তপাত ছাড়াই যেন ক্ষমতার হস্তান্তর হয়, সেদিকে খেয়াল রাখবেন তাঁরা, যদিও তেমনটা হয়নি আদতে। তখন তিনি যুক্তি পাল্টে বলেছিলেন, "ঔপনিবেশিক শাসন শেষ হলে সেখানে রক্তপাত হবেই"।
আরও পড়ুন, Rakshabandhan significance: রবি ঠাকুর ও রাখি বন্ধন
১৯৪৭ এর ৪ জুলাই ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অব কমনসে প্রস্তাবিত হল ভারতের স্বাধীনতা বিল। দিন পনেরোর মধ্যেই পাশ হল বিল। এই বিল পাশের মধ্যে দিয়েই প্রায় দু'শ বছরের পরাধীনতার অবসান হল। একই সঙ্গে ভারত এবং পাকিস্তান দু'টি আলাদা রাষ্ট্রে পরিণত হল। ব্রিটিশ কমনওয়েলথের বাইরে বেরিয়ে দু'টি স্বাধীন দেশ হল ভারত এবং পাকিস্তান।
এর পর থেকে দীর্ঘ সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়ে আসছে। স্কুল, কলেজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আর্থিক প্রতিষ্ঠান সহ অন্যান্য সব প্রতিষ্ঠানেই দিনটি উদযাপিত হয়। স্বাধীনতার আড়ালে থাকা দীর্ঘ সংগ্রামের কথাও শ্রদ্ধার সঙ্গে মনে করা হয় এই দিনটায়।