করোনাক্রান্ত বিশ্বে ২০২০-তে শিশুরাই সবচেয়ে কম সংক্রমিত হয়েছিল অতিমারী সৃষ্টিকারী ভাইরাস থেকে। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউতেও এখনও পর্যন্ত শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা কমই রয়েছে। তবে একেবারে যে নেই তা নয়। এবারের ডাবল মিউটেন্ট এবং ট্রিপল মিউটেন্টের ধাক্কায় বাচ্চারাও অসুস্থ হয়ে পড়ছে। Fortis Hospital-এর শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ জেসল শেঠ জানিয়েছেন যে বাচ্চাদের হালকা লক্ষণ রয়েছে বা অ্যাসিম্পটোমেটিক। পাশাপাশি অজান্তেই কিন্তু তাঁরা এই ভাইরাসের বাহক হয়ে উঠছে।
কী কী দেখলে আন্দাজ করা যেতে পারে আপনার বাচ্চার দেহে করোনা হানা হয়েছে কি না?
চিকিৎসকের কথায়, "লক্ষণগুলির মধ্যে ফুসকুড়ি, পেট এবং তলপেটে সমস্যা, দুর্বলতা, জ্বর, শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা বৃদ্ধি ও শুকনো কাশি প্রাথমিক লক্ষণ। অসংক্রমিত দেহে ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনা। তাই বাচ্চাদের মধ্যে এমন উপসর্গ দেখলে অবিলম্বে সতর্কতা নেওয়া উচিত।" তিনি এও বলেন, ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা এবং কোভিড-১৯ পরীক্ষাও করিয়ে নেওয়ায় উচিত। এছাড়াও শিশুদের মাস্ক পরানো, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা, স্যানিটাইজেশন করা শেখান এখনই।
আরও পড়ুন, অজান্তেই করোনা সংক্রমণের কারণ হয়ে উঠছে বাচ্চারা, প্রমাণ দিলেন গবেষকরা
আপনার বাচ্চাকে এই সংক্রমণ থেকে কী কী উপায়ে দূরে রাখতে পারবেন?
লকডাউন, অতিমারীর জেরে শিশুমনে প্রভাব পড়েছে অনেকটাই। রুদ্ধ শৈশব ভাল নেই। যদিও করোনা দাপটে তাঁদের শারীরিকভাবে সুস্থ রাখতে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। যেমন-
দূরত্ব বজায় রাখা
- সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে শেখান।
- প্রয়োজন না পড়লে বাইরের কারোর সঙ্গে কাছাকাছি না আসাই ভাল।
- বাইরে বন্ধুদের সঙ্গে খেলা আপাতত বন্ধ থাক। বরং ঘরে বসেই যেসব খেলা যায় সেগুলো করতে উৎসাহ দিন। ভার্চুয়ালি দেখা করান বন্ধুদের সঙ্গে।
- পাবলিক প্লেসে মুখ একদম মাস্ক দিয়ে ঢেকে রাখুন বাচ্চাদের।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা
- চোখ, নাক, মুখ রগরানো থেকে আটকান। বুঝিয়ে বলুন সেটি।
- কিছুসময় বাদে বাদে হাত ধোয়া এবং স্যানিটাইজ করাও অভ্যাস করান।
- কাশি কিংবা হাঁচির সময় নাক-মুখ ঢাকতে উৎসাহ দিন।
- প্রাথমিক লক্ষণ থাকলে বাচ্চাকে বাকিদের থেকে আলাদা রাখতে হবে।
ঘরে হাইজিন মেনে চলা জরুরি
- ঘর সবসময় জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করুন
- দরজার বেল, টেবিল, চেয়ার সবসময় স্যানিটাইজ করুন।
- জুতো ঘরের বাইরেই রাখুন।
- ঢাকনা দেওয়া ডাস্টবিন ব্যবহার করুন।
- সবজি, ফল বাজার থেকে কিনে এনে আগে ধুয়ে পরিস্কার করুন।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন