ব্যথা বেদনার এখন আর কোনও বয়স নেই। শিশু থেকে ৬০ ঊর্ধ্ব সকলেই কিছু না কিছু ব্যথায় ভোগেন। কারওর বাত তো কারওর স্পনডিলাইটিস। ব্যথা কিন্তু মানুষের পেছন ছাড়ছে না। এবং সবথেকে দুঃখের বিষয় মাঝে মধ্যেই সেটি হঠাৎ করে চাগাড় দিয়ে ওঠে। ফলেই অসস্তি ক্রমশ বাড়ছে।
ব্যথার আদৌ কোনও ওষুধ হয়? বা এমন কিছু যেগুলি আপনাকে সমস্যা থেকে রেহাই দিতে পারে? এই নিয়ে বক্তব্য কম নেই। অনেকেই হোমিওপ্যাথিক ওষুধ এর বিকল্প বলে বেছে নেন। তবে বেশ কিছুদিন পর যে কে সেই! সুতরাং এর থেকে উদ্ধার পাওয়ার পথ কিন্তু একটাই, সেটি হল আয়ুর্বেদ এবং প্রাকৃতিক বিষয় সামগ্রী। তাহলে চলুন জেনে নিই এমন কয়েকটি সামগ্রী যেটি আপনার ব্যথায় দারুন কাজ দেবে!
প্রথমত, গরম জলে স্নান করুন। ঠান্ডা জলে একেবারেই না এবং শাওয়ার এড়ানো ভাল। তাই ঠান্ডা জল একেবারেই নৈব নৈব চ!
দ্বিতীয়ত, মাসাজ কিংবা তৈলমর্দন। যে জায়গায় ব্যথা সেই অঞ্চলে বিশেষজ্ঞ দ্বারা তেল মালিশ কিন্তু দারুন কাজ দেবে। তাই এটি করতেই পারেন।
তৃতীয়ত, ক্যাপসাইসিন এটি লাল লঙ্কার মধ্যে থাকে। এবং একটি কিন্তু দারুন ভাবে ব্যথায় উপশম দিতে সক্ষম। এর নকিসেপটার ফাইবার স্কিন সেনসিটিভিটি দুর করে ব্যথায় আরাম দেয়। তাই পাকা লঙ্কা খেতে ভুলবেন না।
চতুর্থত, পিপারমিন্ট অয়েল। এটির মধ্যে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি মাইক্রোবাস থাকার দরুন এটি সহজেই ব্যথা থেকে আরাম দিতে পারে। যেখানে ব্যথা হবে ঠিক সেখানেই একটু বুলিয়ে নিলে বেজায় আরাম পাবেন।
পঞ্চমত, আস্যুপানক চার! এটি একধরনের পুরনো পদ্ধতি এবং এর মাধ্যমে বেশ কিছু স্টেরিলাইজ করা সূচ ব্যথার নানান অংশে ফুটিয়ে সেই থেকে উপশম মেলে। হাঁটুর ব্যথা, পেশীর ব্যথা ইত্যাদিতে এটি বেশ কার্যকরী।
ষষ্ঠত, আদা যাকে মহা ভেষজ বলে উল্লেখ করা হয় সেটি কিন্তু বেশ কার্যকরী ব্যথায় আরাম দিতে। রোজ দুই ইঞ্চি আদা অল্প করে খেলে মাসেল পেইন এবং অন্যান্য ব্যথা বেশ কমে।
প্রতিদিনের অভ্যাস কিন্তু আপনার বহু পুরনো ব্যথা থেকে আরাম দিতে বাধ্য!
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন