শরীরে অত্যধিক খাটনির সঙ্গে সঙ্গে ঘুমের প্রয়োজনীয়তা কিন্তু সবথেকে বেশি। শুধু খাটলেই হল না বরং শরীরকে একটু হলেই রেহাই দিতে হবে। রাত করে ঘুমানো কিন্তু একেবারেই ভাল না। মনে রাখতে হবে পরের দিন কাজ করার জন্য ঘুমানো খুব দরকার। ঘুম যে শুধু ক্লান্তি দুর করে এমন নয় বরং দেখা যায়, এটি শরীরের নানা উপকারে আস্তে পারে।
Advertisment
আয়ুর্বেদ বলছে মানবদেহে ঘুমের যথেষ্ট প্রয়োজন রয়েছে। এবং শুধু শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি কিংবা ক্লান্তি দূরীকরণ নয় বরং দেখা যায়, শরীরের প্রতিটি টিস্যুকে নতুন করে বেড়ে উঠতে সাহায্য করে। আবার অনেকসময় দেখা যায় মানসিক ভাবে যারা বিধ্বস্ত থাকেন তাদেরও কিন্তু ঘুমের অবশ্যই প্রয়োজন।
ঘুমের কারণে দৈহিক শক্তি বাড়ে, মানুষ পরের মুহূর্তে দারুণ ভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেন। কাজে মন বসে।
ঘুমের কারণে ইমিউনিটির মাত্রা বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ শরীরে শুধু খাবার গেলেই হল না। একে বুস্টিং এর মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে হয়। ফলেই ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে। খাবার খাওয়ার পর শরীরকে শান্ত রাখা খুব দরকার।
শারীরিক অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গুলিকে চাঙ্গা রাখে। অর্গান গুলিকে ভেতর থেকে সুস্থ রাখতে পারে। অনেক সময় সঠিক মাত্রায় ঘুম না হলে ব্লাড প্রেসার, সুগার বেড়ে যেতে পারে তাই সেইদিকে ভাবনা চিন্তা রাখা উচিত।
মাথা ঠান্ডা রাখতে ঘুমের বিকল্প আর কিছুই হতে পারে না। ঘুম যদি ঠিক পরিমাণে সঠিক সময় জুড়ে হয় তবে অনেক ধরনের সমস্যা থাকতে পারে।
ঘুমের কারণে, চোখের দৃষ্টি উজ্জ্বল হয়। কারণ ঘুমের অভাবে মাথা ব্যথা সেই থেকে চোখের হাজার সমস্যা দেখা যায়। তাই ঘুমের মাত্রা সঠিক হলে কিন্তু অনেকটা রেহাই!
সবথেকে আসল কথা, আয়ু যদি বাড়াতে চান তবে ঘুম কিন্তু অবশ্যই দরকারি।