কোভিড-১৯ অতিমারীর জেরে তৈরি হওয়া আতঙ্কে ঘুম উড়েছে বিশ্ববাসীর। প্রকৃত অর্থেই রাতের পর রাত ঘুমোতে পারছেন না বিশ্বের কয়েক কোটি মানুষ। উদ্বেগ, আতঙ্কের পাশাপাশি লকডাউন-সহ সামাজিক বিচ্ছিন্নতার জন্য তৈরি হচ্ছে নিঃসঙ্গতার বোধ। নিরবিচ্ছিন্নভাবে ঘুমোতে পারছেন না অনেকেই। অনেকের মাঝপথে ভেঙে যাচ্ছে ঘুম, পর্যাপ্ত বিশ্রামের অভাবে তিরিক্ষি হয়ে থাকছে মেজাজ, বিগড়োচ্ছে শরীর। অবধারিতভাবে এর প্রভাব পড়ছে পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে। সমাধান খুঁজতে এবার উদ্যোগী হলেন বিজ্ঞানীদের একাংশ।
গবেষকদের মতে, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ঘুম অত্যন্ত জরুরি। করোনার সময় সবচেয়ে জরুরি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো। সে জন্যও পর্যাপ্ত ঘুম দরকার। স্মৃতি সতেজ রাখতে, মনমেজাজ ভাল রাখতেও ঘুমের বিকল্প নেই।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এবং লকডাউনের সময়ে বিশ্বের অসংখ্য মানুষ ঘুম না হওয়ার সমস্যায় ভুগছেন। গ্রেট ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নায়ুবিজ্ঞানীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাঁরা ঘুম না হওয়ার কারণ এবং তার সামাজিক প্রভাব কী হতে পারে, তা নিয়ে গবেষণা করবেন।
আইকস (আইসিওএসএস) বা ইন্টারন্যাশনাল কোভিড-১৯ স্লিপ স্টাডি এই গবেষণা করবে। অস্ট্রিয়া, কানাডা, চীন, ফিনল্যান্ড, জার্মানি, হংকং, জাপান, নরওয়ে এবং আমেরিকায় এই সংক্রান্ত সমীক্ষা করা হবে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্লিপ মেডিসিনের অধ্যাপক কলিন এসপাই বলেন, "ঘুম অত্যন্ত জরুরি।ঠিকমতো ঘুম না হলে শারীরিক ও মানসিক বিপর্যয়ের সম্ভাবনা থাকে। করোনার সময় বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষ ঘুমের সমস্যায় ভুগছেন। আমরা এর প্রভাব নিয়ে গবেষণা করব।"
গবেষকেরা জানিয়েছেন, সামাজিক বিচ্ছিন্নতা এবং লকডাউন মানসিক স্বাস্থ্যকে কীভাবে প্রভাবিত করছে, কীভাবে বিরাট অংশের মানুষের মনে তৈরি হচ্ছে প্রবল উদ্বেগ, অবসাদ এবং ট্রমা- তার বিশদ বিবরণ থাকবে গবেষণায়। তৈরি করা হবে একটি আর্ন্তজাতিক ডেটাবেস।