আষাঢ় মাস মানেই রথযাত্রা। প্রভু শ্রীজগন্নাথ, শ্রী বলরাম এবং সুভদ্রার রথে সওয়ার হয়ে মাসির বাড়ি যাত্রা। শ্রীক্ষেত্রে এই পার্বণ উপলক্ষে কোটি কোটি ভক্ত সমাগম হয়। আর আজ, মঙ্গলবার জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা উৎসব। আষাঢ়ে রথযাত্রার আগে জ্যৈষ্ঠ মাসে হয় এই স্নানযাত্রা। একে একাধারে জগন্নাথ দেবের জন্মদিনও বলা হয়। করোনা আবহে ২ বছর বিধিনিষেধ থাকার পর এবারের স্নানযাত্রা নিয়ে উৎসাহ-উদ্দীপনা চোখের পড়ার মতো।
আগের দিন থেকে সেজে উঠেছে পুরীর শ্রীক্ষেত্র। সকালে গর্ভগৃহ থেকে শোভাযাত্রার মাধ্যমে স্নান মণ্ডপে নিয়ে আসা হয় জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রাকে। সেখানে ১০৮ ঘড়া জলে স্নান করানো হয় বিগ্রহকে। এরপর ১৫ দিন ধরে চলে বিশ্রাম পর্ব। রথযাত্রার দিন আবার দর্শন মেলে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার।
পুরীতে ১২ বছর অন্তর নব কলেবর হয়। স্কন্দপুরাণ অনুযায়ী, রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ম জগন্নাথ দেবের কাঠের বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এই দিনে। তার পর থেকেই এই স্নানযাত্রা উৎসব শুরু হয়। ভক্তদের কথায়, স্নানের পর কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে জগন্নাথ দেবের। লেপ-কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকেন জগতের নাথ। এই সময় করা হয় অঙ্গরাগ। অর্থাৎ ভেষজ রং দিয়ে জগন্নাথ দেবকে রাঙানো হয়। এই পর্বে গর্ভগৃহের দরজা বন্ধ থাকে।
আরও পড়ুন মনস্কামনা ব্যর্থ হয় না, ইন্দোরের এই মন্দিরে ছুটে আসেন দূর-দূরান্তের ভক্তরা
কবিরাজি পাঁচন খেয়ে জ্বর ছাড়ে জগন্নাথের। তার পর হয় নবযৌবন উৎসব। পরদিন রথে চেপে মাসির বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রা। প্রসঙ্গত, এদিন কালীঘাটেও মায়ের স্নানযাত্রা উৎসব হয়। সেই কারণে আজ দুপুর ১টা পর্যন্ত মন্দিরে ভক্তদের প্রবেশ নিষেধ। গর্ভগৃহ বন্ধ করে মা কালীকে মহাস্নান করান সেবায়েতরা।