হালকা ঠান্ডা গরম, আবহাওয়ার পরিবর্তন হাঁচি কাশি লেগেই আছে। বিশেষ করে এই প্রচন্ড গরমে ঘাম বসে গিয়েও কিন্তু সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর করোনা মহামারীর প্রভাব কমলেও সতর্কতা অবশ্যই রাখা উচিত। মুখে চাপা না দিয়ে হাঁচির অভ্যাস অনেকেরই আছে, এবং এটি ভীষণ খারাপ একটি কাজ।
Advertisment
এটি যেমন নিজের পক্ষে ক্ষতিকর তেমনই অন্যান্যের পক্ষেও যথেষ্ট সমস্যার। হাঁচির মাধ্যমেই নানান জীবাণু ছড়িয়ে পড়তে পারে। অনেক সময় দেখা যায়, হাঁচির সঙ্গে জলীয় ড্রপলেট বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে এটিই ইনফেকশন ছড়ানোর মুল। এই প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?
তাদের মতামত অনুযায়ী একবার হাঁচি দিলেও কিন্তু খুব সমস্যা। কম করে ৬ ফিট দূরত্বে সেই জীবাণু ছড়িয়ে যেতে পারে। তেমন হলে এটি আরও দূরে ছড়ায়, তাই সকলের সতর্ক থাকা উচিত।
আবার, কম করে সেই জীবাণু বাতাসে ২৪ ঘণ্টার কাছাকাছি স্থায়ী হয়। বদ্ধ এলাকায় সেটির মাত্রা আরও বেশি। ফলে বর্তমান সময়ে দাড়িয়ে সেটি ক্ষতি করতে পারে।
এবং তার সঙ্গেই শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা ছড়াতে এর জুড়ি মেলা ভার। অনেকেই প্রচন্ড গরমে মাস্ক পড়ে থাকতে পারছেন না। বেশিরভাগই নির্দিষ্ট সময়ের পর খুলে ফেলছেন মাস্ক, তাই নিজের এবং ওপরের স্বাস্থ্যের সুরক্ষায় সকলকে সতর্ক হতে হবে।
যে বিষয়গুলি অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে ;
রুমাল কিংবা টিসু ব্যবহার করতে হবে। টিসু হলেই ভাল। হাঁচি দেওয়ার পর সেটিকে ফেলে দেওয়া উচিত।
কনুইয়ে এবং হাতে মুখ চেপে হাঁচি দেওয়া একদম ঠিক নয়। জল দিয়ে মুখ এরপর ভাল করে পরিষ্কার করে নেওয়া ভাল।
তারও আগে হাত ধুন। সাবান দিয়ে তারপর অবশ্যই স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। কারণ ছোট ছোট কিছু থেকে কখন বড় রোগ দেখা যায় সেই সম্পর্কে বলা সম্ভব নয়।
সহজে কারওর সঙ্গে হ্যান্ডশেক করা কিংবা বাইরের খাবার খাওয়া একদম উচিত নয়। এর থেকে পরবর্তীতে মুশকিল হতে পারে।