পৃথিবীর সকল মারণ রোগের মধ্যেই ক্যানসার কিংবা কর্কট রোগ একটি নির্দিষ্ট বিষয়। গোটা বিশ্বে সব থেকে বেশি মানুষ মারা যান এই রোগে। এর কারণ হিসেবে অনেক কিছুই নিশ্চিত করা হয় তারপরেও আপনার প্রতিদিনের খাবার থেকেও কিন্তু এই ভয়ঙ্কর রোগ আপনার শরীরে বাসা বাঁধতে পারে।
আপনি কী ধরনের খাবার খাচ্ছেন তার ওপর নির্ভর করেই আপনার লিভার থেকে কিডনি এবং হার্ট সবকিছুর সুস্থতা লক্ষণীয়। যদি পুষ্টিকর এবং উপযোগী খাদ্য গ্রহণ করেন তবে কোনও সমস্যাই রইল না তবে যদি এমন কিছু শরীরের হানিকর কিছু গ্রহণ করেন, যেমন সিগারেট কিংবা অ্যালকোহল অথবা সোডা এবং অতিরিক্ত কার্ব চর্বি যুক্ত খাবার তবে এর থেকে কিন্তু সমস্যা বাড়তে পারে।
সুতরাং নিজেকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে বেশ কিছু পরিবর্তন এবং খাদ্য বর্জন অবশ্যই করতে হবে!
• স্টক করা মাংস যেমন সসেজ, হ্যাম, বিফ, অত্যন্ত তৈলাক্ত মাছ কথা সার্ডিন, টুনা এগুলো খাওয়া কমিয়ে দিতে হবে। বিশেষত ভারতীয়দের জন্য পাঁঠার মাংস একেবারেই নৈব নৈব চ! তবে তার বদলে চিকেন, টার্কি, ডিম, স্যামন, পমফ্রেট, চিংড়ি এগুলি খাওয়া উচিত। আরেকটি বিষয় পড়ানো অর্থাৎ বার্বিকিউ করা মাংস কিন্তু অত্যধিক মাত্রায় খেলে রিস্ক অনেক বেশি।
• অ্যালকোহল এবং যেকোনও সোডা জাতীয় পানীয় একেবারেই না। যদিও বা সফট ড্রিঙ্কস চলে তাও পরিমাণে বেশ স্বল্প। এতে লিভার এবং কিডনি একপ্রকার জ্বলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে যার ফলে শুধু ক্যানসার নয়, হৃদরোগ জনিত সমস্যার সূত্রপাত হয়।
• বাইরের ফাস্ট ফুড কিন্তু টেস্টি হলেও বেশ খারাপ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে বিশেষত ক্যান্সার প্রতিরোধে ফাস্ট ফুড কমানোর পরামর্শই দেওয়া হয়েছে। এর থেকে ওজন ক্রমশই বেড়ে যায় ফলে শরীরের নানান স্তরে চাপ পড়তে থাকে তাই এর থেকেও দূরে থাকাই ভাল।
• প্যাকেট করা খাবার বেশিদিন হয়ে গেলে খাবেন না। নানান ধরনের নুডলস, রেডিমেড মোমো এমন অনেক কিছুই আছে যেগুলি ক্যানড ফুড নামে পরিচিত এগুলি খাবেন না। ফ্রেশ খান।
• ফ্রায়েড ফুড কিন্তু বেশ ক্ষতিকারক। ভাজাভুজি কিন্তু অনেকেই পছন্দ করেন এবং প্রতিদিন রুটিন মাফিক খান। এর থেকে সেদ্ধ খান তাও ভালও!
তবে খাবারের মধ্যে, টমেটো এবং গাজর সঙ্গে রসুন কিন্তু ক্যানসারের প্রভাব থেকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে। এছাড়াও ওটস, দানাশস্য, শ্যামা চালের ভাত এগুলি খাওয়া খুব ভাল। তাই জীবনে একটু লাগাম আনুন! শরীর ভাল থাকবে!
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন