ট্যাটু নিয়ে বেশ কিছু ভুল ধারণা রয়েছে। এ নিয়ে অনেকের মধ্য়েই বিভিন্ন ভুল ধারণা রয়েছে, যা প্রায় মিথে পর্যবসিত হয়েছে। একারণে অনেক ভাবনাচিন্তার পরও ট্য়াটু করে ওঠা হয়না অনেকেরই। যাঁরা এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন ভয়ে ট্য়াটু করাতে পারেননি, তাঁদের জন্য রইল আশার আলো। নির্ভয়ে শখ মেটাতে পারেন আজই।
মিথ: ট্যাটু থাকলে রক্ত দেওয়া যায় না।
সত্য: আসল সত্যিটা অন্যরকম। ট্যাটু করানোর ছ’মাসের মধ্যে রক্ত দেওয়া যায় না। সদ্য় ট্য়াটু করার পর ইনফেকশনের ভয় থাকে। অনেক সময়েই ইনফেকশন সঙ্গে সঙ্গে না হয়ে কয়েকদিন বা কয়েকমাস পরেও হতে পারে। সেই কারণে ওই কয়েকমাস সময় নেওয়া হয়,
মিথ: ট্য়াটু করলে চাকরি পাওয়া যায়না।
সত্য: একথা একেবারেই ভুল যে ট্য়াটুর কারণে চাকরি পাওয়ার সমস্য়া হতে পারে। বেশ কিছু মাস আগে একটি কেসে মুম্বই হাইকোর্ট জানায় যে ট্য়াটু কখনই কোনও চাকরির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে না। আসলে এয়ারলাইনস, হোটেল ইন্ডাস্ট্রি ইত্য়াদি বেশ কিছু ক্ষেত্রে শরীরের কোনও ডিসপোজেবল জায়গায় ট্য়াটু থাকলে তাঁদের বাতিল করা হয়। তসদ্য় ট্য়াটু করেছেন? রোদ থেকে সাবধান!বে ইদানিং এধরনের সমস্য়া খুব কমই চোখে পড়ে।
মিথ: একবার ট্য়াটু করালে তা আর তোলা সম্ভব হয়না।
সত্য: আসলে ট্য়াটু মোছার পদ্ধতি যেমন সময়সাপেক্ষ তেমনই খরচ সাপেক্ষ। তবে একেবারে ছোট ট্য়াটুর ক্ষেত্রে কয়েকটা সিটিং-এ রেজার ট্রিটমেন্টে তা মুছে ফেলা যায়, আর শরীরের বড় অংশ জুড়ে ট্য়াটুর ক্ষেত্রে বেশ অনেকগুলো সিটিং প্রয়োজন এবং এই সময়ে লোকাল অ্য়ানাস্থেসিয়া করা হলেও তা বেশ যন্ত্রণাদায়ক। সেই কারণেই অনেকেই বলে থাকেন ট্য়াটু তোলা যায়না।
মিথ: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ট্য়াটু ফেড হয়ে যায়।
সত্য: এটা একেবারেই সত্যি নয়, ঠিকমতো পরিচর্যা করলে ট্য়াটু ঠিকই থাকে।