বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রে দেখা যায়, তারা শীতকাল প্রিয়। এইসময় তাদের ক্ষেত্রে নিদারুণ উপভোগ করার মুহূর্ত। খাওয়াদাওয়া থেকে মজা বিনোদন সর্বত্রই শীতকাল কিন্তু আরামদায়ক অনেকের কাছেই। কিন্তু অনেকের কাছেই কিন্তু শীতকাল মানেই চূড়ান্ত বিরক্তিকর মুহূর্ত। ঠান্ডায় একেবারেই কুপোকাত তারা। তাদের কাজ করতে যেমন ইচ্ছে করে না তেমনই শরীরে আরষ্ঠ ভাব।
কিন্তু শীতকালে নিজেকে সচল রাখাও বেশ দরকারি। ঠান্ডা থাকলেও কাজ থেকে ফাঁকি দিলে কিন্তু একেবারেই চলবে না। সঙ্গেই শীতকাল মানেই চারিদিকের পরিস্থিতিও অনেক মানুষকে মানসিকভাবে অশান্ত রাখে। কিছু মানুষ এমনও আছে যারা চরম ডিপ্রেশনে থাকেন। কিন্তু এর থেকে বেরিয়ে আসা খুবই প্রয়োজন। আয়ুর্বেদের পথে আপনি কিন্তু এর থেকে রেহাই পেতে পারেন।
আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ ডা নিতিকা কোহলি বলেন, শীতকালে আবহাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে আরামে রাখাও দরকার। পরিবেশের সঙ্গে যুজে ওঠার ক্ষমতাও থাকা দরকার। সেই কারণেই বেশ কিছু টিপস তিনি শেয়ার করেছেন যেগুলি মেনে চললেই চরম উপকার পাবেন। যেমন :
সঠিক সময়ে বিশ্রাম নেওয়া অভ্যাস করুন। অন্তত ঠান্ডায় প্রচন্ড কষ্ট পাওয়ার আগে রাত ১০ টার মধ্যে ঘুমানোর অভ্যাস করুন।
সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেই গরম খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। নইলে কিন্তু ঠান্ডা কাটবে না। শুকনো খাবার একেবারেই নয়, স্যুপ জাতীয় খাবার খাওয়া ভাল, এতে শরীরে ময়েশ্চার বজায় থাকে।
খাবার ভেষজ তেল দিয়ে বানানো হলে এই সময় স্বাস্থ্যের পক্ষে বেশ কার্যকরী। তিলের তেল, কিংবা অলিভ অয়েল অথবা ঘি দিয়ে খাবার বানান। তবে শরীর ভেতর থেকে হালকা গরম থাকবে।
সারাদিনের খাবারে বিভিন্ন ধরনের মশলা যুক্ত করুন। হলুদ, দারচিনি, লবঙ্গ, এমনকি আদা মেথি বিভিন্ন রকমের উৎকৃষ্ট মানের চা এগুলি খাওয়া খুব ভাল। প্রাকৃতিক মশলা কিন্তু শরীর সতেজ রাখে এবং শক্তি জোগায়।
প্রতি একদিন অন্তর অন্তর তিলের তেল অথবা অলিভ অয়েল দিয়ে গা হাতপা ম্যাসাজ করা খুব ভাল। আগে থেকে সূর্যের আলোয় তেল হালকা গরম করে নিলে আর কোনও কথাই নেই।
শীতকালে কিন্তু সারাদিনে দুইবার মেডিটেশন করা খুব ভাল। সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং রাত্রে শুতে যাওয়ার আগে ১০ মিনিট করে এত অভ্যাস করুন। শীতকালে মানসিকভাবে শান্তি পেতে গেলে এটুকু করাই যায়।
ঠান্ডায় জুবুথুবু হয়ে বসে না থেকে নিজেকে পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন