ছোট্ট ছোট্ট গোল গোল ভিজিয়ে রাখলে একটু স্কুইসি, আর খেতে বেশ মাইল্ড কিন্তু স্বাস্থের পক্ষে বেশ উপকারী। আজ্ঞে, সয়াবিন কিন্তু সকলের কাছেই বেশ আশির্বাদ স্বরূপ। প্রোটিন ভিটামিন এবং মিনারেলস এর উপাদান সমৃদ্ধ এবং সবধরনের খাবারের সঙ্গে বেশ মানানসই বটে। কথায় বলে নিরামিষাশীদের কাছে মাংস স্বরূপ।
Advertisment
প্রথমে এর উৎস সম্পর্কে বলতে গেলে, সে খ্রিস্টপূর্বের ইতিহাস। চিনা এক কৃষকের দ্বারাই এর উৎপাদন এরূপ হদিশ মেলে। এবং পরবর্তীতে চিন, জাপান, কোরিয়া এবং ভারতে এর বিস্তার ছড়িয়ে পড়তে থাকে। সয়াবিন এতই ফ্লেভারফুল এবং উৎস সম্পন্ন যে এটি থেকে পরবর্তীতে সয়া মিল্ক, সয়া তেল, সয়া সস, সয় ময়দা এমনকি তফু, সবকিছুই বেশ জনপ্রিয় ভোজনরসিকদের দরবারে।
কী ধরনের গুন সম্পন্ন এই সম্পর্কে বলতে গেলেই, এটি বলতে হবেই যারা কোনধরনের মাংস খান না তাদের কাছে কিন্তু একটি দারুন জিনিস এবং এটি নিদারুণ ভাবে শারীরিক প্রোটিন তথা মিনারেলস আপনাকে প্রদান করতে পারে। তাছাড়া, ভিটামিন সি এবং ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদির সম্ভার দেখা যায়।
এটি, আপনার ওজন কমাতে দারুন কাজ দেয়। এবং সেই থেকেই আপনি আপনার ইচ্ছেমত ওজনের লক্ষে পৌঁছতে পারেন। এটি একেবারেই চর্বি জমতে দেয় না কিন্তু সঙ্গেই বেশ অনেক্ষণ পেট ভর্তি রাখে এবং খিদে কম পাওয়ার কারণেই মাসেল গ্রোথ ভালভাবে হতে পারে।
এর মধ্যে উপস্থিত অ্যান্টি অক্সিডেন্ট কিন্তু ক্যান্সার কমাতে সমর্থক। মূলত যে হরমোনগুলো যথা প্রোস্টেট এবং ব্রেস্ট ক্যান্সার ঘটাতে পারে সেগুলির থেকে রেহাই দিতে পারে।
সয়াবিনে উপস্থিত আইসোফ্ল্যাভোনস, যা পলিফেনলিক যৌগ যা ইস্ট্রোজেন-অ্যাগোনিস্ট এবং ইস্ট্রোজেন-অ্যান্টাগনিস্ট উভয় বৈশিষ্ট্যের অধিকারী- ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে পারে। এই যৌগটি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করতে পারে এবং কোষগুলিকে আরও গ্লুকোজ শোষণ করতে সাহায্য করতে পারে।
সয়াবিন ক্যালসিয়ামের একটি চমৎকার উৎস। হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় একটি পুষ্টি উপাদান এবং অস্টিওপরোসিসের ঝুঁকি কমায়। আপনার প্রতিদিনের ক্যালসিয়ামের ভাগ পেতে দুধের দ্রব্যের বিকল্প খুঁজছেন তবে এটি সেরা পছন্দ হতে পারে। এটি হাড় ভাঙা এবং হাড় ক্ষয়ের ঝুঁকি কমাতে পারে।
শুধুমাত্র যারা, থাইরয়েড এবং ডায়রিয়ার রোগী, তারা কিন্তু এটি খাওয়ার আগে পরামর্শ নিয়ে নেবেন। আপনাদের ক্ষেত্রে কিন্তু এটি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন