ল্যাকটোজ যাঁদের শরীরের জন্য উপযোগী নয়, তাঁরা বিকল্প হিসেবে খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন সোয়া মিল্ক। শরীরের জন্য বেশ উপকারী তো বটেই, গরুর দুধের থেকেও বেশি পুষ্টিগুণ রয়েছে এতে। এক কাপ দুধে রয়েছে প্রায় ৬০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম। রয়েছে ভিটামিন ডি-ও, যা ক্যালসিয়ামকে শরীরের উপকারী যৌগ হিসেবে তৈরি করতে সাহায্য করে। কাজেই গরুর দুধের বদলে খান সোয়া দুধ, আমন্ড দুধ, রাইস মিল্ক।
সোয়া দুধ: গরুর দুধের অন্যতম জনপ্রিয় বিকল্প সোয়া দুধ। সোয়াবিনের নির্যাস থেকে তৈরি এ দুধ বাজারে চিনিসহ, চিনি ব্যতীত, চকোলেট ও ভ্যানিলা ফ্লেভারযুক্ত নানাভাবেই পাওয়া যায়। পুষ্টিগুনে সমৃদ্ধ কোলেস্টেরল-মুক্ত এ দুধে রয়েছে আইসোফ্লেভন নামের প্রাকৃতিক উপাদান, যা হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাসে সহায়তা করে। মেনোপজ শুরু হয়ে যাওয়া নারীর জন্য সোয়া দুধ উপকারী। ফাইটোইস্ট্রোজেন-সমৃদ্ধ সোয়া দুধ মেনোপজের সময় ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কমে যাওয়ার ঝুঁকি কমায়।
আরও পড়ুন: অফিস সামলেও ডায়েট প্ল্যানে নজর রাখুন সহজেই
আমন্ড দুধ: আমন্ডে চূর্ণ, জল ও চিনি দিয়ে তৈরি করা হয় আমন্ড দুধ। পাশাপাশি যোগ করা হয় ভিটামিন ও খনিজ। আমন্ড দুধ আমেরিকায় সবচেয়ে প্রিয় ভেষজ দুধ বলে খ্যাত। তবে তা গরু ও সয়া দুধের চেয়ে তুলনামূলক কম। আমন্ডে রয়েছে উচ্চমানের ভিটামিন ‘ই’। তবে আমন্ড দিয়ে তৈরি দুধে আলাদাভাবে ভিটামিন ‘ই’ যোগ না করে জল মেশালে ভিটামিন ‘ই’-এর পরিমাণ কমে যায়। তাই ভিটামিন ‘ই’-এর জোগানে আমন্ড বাদাম হিসেবে খাওয়া বেশি উপকারী। আইসক্রিম ও অন্যান্য দুগ্ধজাত খাবার তৈরিতে আমন্ড দুধের ব্যবহার করা যায়।
রাইস মিল্ক: যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে, তাঁদের জন্য রাইস মিল্ক আদর্শ। সেদ্ধ চাল, বাদামি চালের রস ও মাড় থেকে তৈরি হয় রাইস মিল্ক। গরুর দুধের তুলনায় এতে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বেশি ও প্রোটিনের পরিমাণ থাকে কম। ৮ আউন্স পরিমাণ চিনিমুক্ত রাইস মিল্কে রয়েছে পর্যাপ্ত ক্যালরি, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম সহ ভিটামিন ‘এ’ ও ‘ডি’।
নারকেলের দুধ: নারকেলের দুধে রয়েছে উচ্চমানের ফ্যাট। তবে এতে প্রোটিনের পরিমাণ গরুর দুধের চেয়ে কম। বেকিং করায় ও রান্নায় এর ব্যবহার করা যায় নির্দ্বিধায়।
প্রসঙ্গত, বাজার চলতি প্যাকেটজাত বেশ অনেক সোয়া মিল্ক পাবেন, এ ছাড়াও লাইফ হেলথ ফুড (ইন্ডিয়া) প্রাইভেট লিমিটেডের সো গুড ব্র্যান্ডটি বেশ কিছু ডেয়ারি প্রোডাক্ট নিয়ে এসেছে বাজারে, আমন্ড মিল্ক এবং সোয়া মিল্ক। এতে ফ্যাটের পরিমান রয়েছে অন্যান্য দুধের থেকে প্রায় ৫০ শতাংশ কম। কোনও কোলেস্টেরল নেই, রয়েছে একাধিক ভিটামিন এবং পর্যাপ্ত প্রোটিন। যেকোনও দোকানেই মিলবে এর ১ লিটার বা ২০০ এমএলের প্যাক। বলার অপেক্ষা রাখে না, এই দুধে মিটবে সমস্ত ঘাটতি। শুধু ভারতেই নয়, বিশ্বব্যাপী বাজারে বিক্রি হচ্ছে এই ভেষজ দুধ।