শীত পেরিয়ে বসন্ত মানেই বাতাসে হালকা গরম, অল্প আদ্রতা আর তার সঙ্গে বেশ সমস্যা দায়ক মুহূর্ত। তার কারণ, বাতাসের ধূলিকণা এবং অ্যালার্জির প্রকোপ। এই সময় যত্ত খারাপ রোগ, অর্থাৎ বসন্ত থেকে হাম এবং আবহাওয়ার পরিবর্তনে ঠান্ডা গরম এবং ডি হাইড্রেশন, শরীর খারাপের মোক্ষম সময়। আয়ুর্বেদ বলে এই বসন্তে কাফা দশা বৃদ্ধি পেলে খুব মুশকিল হয়। শরীরে ইমিউনিটি কমে যেতে থাকে, তাহলে কী করবেন?
Advertisment
পুষ্টিবিদ এবং বিশেষজ্ঞ ডা লব নীত বাত্রা বলছেন, বেশিরভাগ সময় দেখা যায়, অ্যালার্জির সঙ্গে সঙ্গে সিজনাল ফ্লু ভীষণ সমস্যা দিতে পারে। অনেকেই ওষুধ বেশি প্রেফার করেন তবে ডায়েটের পরিবর্তন কিংবা বিশেষ কিছু খাবার খেলে কিন্তু অনেক সুরাহা পাওয়া যায়। প্রতিদিনের খাবারে কিছু ছোট পরিবর্তন অনেক কামাল করতে পারে।
শুধুই যে শীতকালে নাক দিয়ে জল পড়ে কিংবা হাঁচি হয় এমনটা কিন্তু নয়। বসন্তের হাওয়ায় এত ধুলোবালি থাকে যে এর থেকে মারাত্মক ভাবে, শরীরে ক্ষতি হতে পারে। জ্বর হতে পারে, বমি পেট খারাপ হতে পারে। চোখ দিয়ে জল পড়া এবং অন্যান্য সমস্যা দেখতে পাওয়া যায়! এমন সময় যে খাবারগুলি আপনাকে স্বস্তি দিতে পারে সেগুলি কী কী? তিনি বলছেন শরীরের ইমিউনিটি বেশি থাকলে অ্যালার্জির বিরুদ্ধে লড়বার ক্ষমতা বেড়ে যায়।
আদা :- এটিকে আসলেই বিশ্ব ভেষজ বলা হয়ে থাকে। এর ফেনোলিক কম্পাউন্ড এবং জিনজারোলস, শোগাওলস এগুলি শ্বাসযন্ত্রের সুরক্ষা করে। এর সঙ্গে শরীরের অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি এবং অক্সিডেন্ট বজায় রাখে।
স্পিরুলিনা :- যারা আসলেই অ্যালার্জির থেকে ভোগেন তাদের সুস্থতা প্রদান করতে এটি ভাল কাজ করে। গবেষণা বলছে স্পিরুলিনা সাইটোকাইন এবং ইন্টারফার্নস এর মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। এগুলি ইমিউনিটি কে সুরক্ষা করে, এর হয়ে লড়াই করে।
নারকেল তেল :- বিশেষ করে সিজনাল অ্যালার্জির ক্ষেত্রে নারকেল তেল বেশি কার্যকরী। এর lauric acid -অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, এবং ফাঙ্গাস কে ইমিউনিটি বুষ্টিংয়ের মাধ্যমে কমায়। এই ধরনের খাবার গুলি খেলে শরীরের প্রদাহ ক্ষমতা কমে যায়, দৈহিক গরম ভাব হ্রাস পায়, সেই থেকেই অ্যালার্জির ধাত কমতে থাকে।