Stealth Omicron: করোনা ভাইরাস নিয়ে চারিদিকে শোরগোলের শেষ নেই। একের পর এক নয়া ভ্যারিয়েন্ট এবং তার নিত্যনতুন উপসর্গ নিয়ে মানুষের জীবন জর্জরিত। ইতিমধ্যেই চারিপাশের পরিস্থিতি বিবেচনা করে মানুষ করোনা অতিমারী শেষ বলেই জানিয়েছিলেন। তবে এই যুক্তিকতায় জল ঢেলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাদের মতে এখনও অতিমারি শেষের পথে সেই সম্পর্কে ধোঁয়াশা। তাদের বিবেচনা এমনও ছিল ভবিষ্যতে নয়া ভ্যারিয়েন্ট কিন্তু আসতেই পারে। আর যেমন আশঙ্কা তার তেমনই ফল!
যদিও বা গ্রেট ব্রিটেন জুড়ে করোনা মহামারী শেষ বলেই কিছুদিন আগে জানিয়েছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। তবে শেষ নেই, ইউনাইটেড কিংডম জুড়ে দেখা গেছে করোনা ভাইরাসের সাব স্ট্রেন - স্টেলথ ওমিক্রন এখনও গবেষণার অধীন - পরবর্তীতে জানানো হবে এটিকে ভ্যারিয়েন্ট অফ কনসার্ন বলা যায় কিনা। এটি অমিক্রনের থেকে এক লেভেল নিচু ভ্যারিয়েন্ট এবং ৪০ টি দেশ জুড়ে এর লক্ষণ মিলেছে।
কি জানা যাচ্ছে?
গবেষকরা জানাচ্ছেন, এই ভ্যারিয়েন্ট আসলে পরিচিত BA.2 নামে। যথারীতি এটিও ওমিক্রনের মতই ছোঁয়াচে ভ্যারিয়েন্ট বলেই আশা করছেন তারা। কারণ ইউকে এর অন্দরে প্রচুর মানুষ কিন্তু এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন।
চিকিৎসকরা কী জানাচ্ছেন এই প্রসঙ্গে ?
চিকিৎসক মৃণাল সরকার ( পালমনোলোজি, ফর্টিস হসপিটাল ) বলছেন রিপোর্ট অনুযায়ী কম করে চল্লিশ টি দেশের অন্দরে এই ভাইরাসের হদিশ পাওয়া গেছে। বেশ কিছু সংখ্যক মানুষ BA.2 দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন। ডেনমার্কের সঙ্গে সঙ্গে ব্রিটেন, সুইডেন এবং সিঙ্গাপুর ছাড়াও ভারতেও নাকি পাওয়া গেছে সংক্রমিত ব্যক্তি।যেহেতু এটি ওমিক্রন থেকেও জলদি ছড়াচ্ছে তাই চিকিৎসকরা আশঙ্কা এটাই করছেন যে বর্তমান স্ট্রেনের থেকেও এটি মারাত্মক হতে পারে। সুতরাং সতর্ক থাকা উচিত।
চিকিৎসক সরকার বলছেন, যেহেতু এই ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে এখনও তেমন কোনও তথ্য নেই, তাই সমস্ত টাই গবেষণার ওপর ছেড়ে দিতে হবে। রিপোর্ট এবং ডেটা দুটোই খুব কম কিন্তু যেটি আশঙ্কা করা যায় যে এটি ওমিক্রন থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হতেই পারে। এবং BA.2 এর ক্ষেত্রেও যে ভ্যাকসিন একেবারেই কাজ করবে না সেটিও কিন্তু তিনি স্পষ্ট করেছেন।
কীভাবে এর পরীক্ষা সম্ভব?
প্রসঙ্গেই চিকিৎসক লক্ষণ দেশাই ( ইনফেকশিয়াস ডিজিস, অ্যাপোলো ফরটিস ) জানিয়েছেন অন্যান্য সাব লাইনেজ ভ্যারিয়েন্ট ঠিক যেমন এটিও সেরকমই। যে কোনও লাইন আপের সাব ভ্যারিয়েন্ট একটু ক্ষতিগ্রস্থ হতেই পারে, ঠিক যেমন করোনা পরবর্তীতে ডেল্টা। তবে এর চিকিৎসাও অন্যগুলোর মতই করতে হবে।
এবং সবথেকে আসল যে বিষয়টি তারা জানিয়েছেন যে সাব ভ্যারিয়েন্ট কিন্তু একেবারেই সহজে পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত করে যায় না। যতক্ষণ না পর্যন্ত সেটি থেকে S জেনেটিক ড্রপ না বেরোচ্ছে ততক্ষণ এটি কোন ভ্যারিয়েন্ট এর সঙ্গে সম্পর্কিত সেটি বোঝা দায়। জেনোম সিকোয়েন্স বুঝতে পারা খুব সমস্যার। তাই চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, যত বেশি বা যে হারে এটি অন্যত্র ছড়াচ্ছে সেই দিকে বিচারে এটির মিউটেশন বেশি হতেই পারে এবং কনসার্ন হিসেবে বিবেচিত হতেও পারে।