পরীক্ষার খাতায় ভগবানের আশীর্বাদ, ভূতের ছবি নয়: রাজীব গান্ধী ইউনিভার্সিটি

বেশ কিছু পরীক্ষার্থী উত্তরপত্রে লেখা শুরু করার আগে ‘ওম’, ধর্মের বাণী, বিভিন্ন রকম চিহ্ন, ভগবানের নাম ইত্যাদি লিখে রাখে। সম্প্রতি জারি হওয়া এই বিজ্ঞপ্তিতে এধরনের আচরণকে কার্যত কদাচার বলেই অভিহিত করা হয়েছে।

বেশ কিছু পরীক্ষার্থী উত্তরপত্রে লেখা শুরু করার আগে ‘ওম’, ধর্মের বাণী, বিভিন্ন রকম চিহ্ন, ভগবানের নাম ইত্যাদি লিখে রাখে। সম্প্রতি জারি হওয়া এই বিজ্ঞপ্তিতে এধরনের আচরণকে কার্যত কদাচার বলেই অভিহিত করা হয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

পরীক্ষার খাতায় ভগবানের প্রতি কোনও আবেদন নয়।

যে কোনও কাজে ভগবানের আশীর্বাদ প্রার্থনা করেন অনেকেই। পরীক্ষার হলে তো বটেই। কম বেশী সব ছাত্রছাত্রীই করজোড়ে ওপরওয়ালার নাম জপতে থাকেন পরীক্ষার সময়। তবে পরীক্ষার খাতায়, অর্থাৎ উত্তরপত্রে, ভগবানের নামে কোনও আবেদন গ্রাহ্য করবে না বিশ্ববিদ্যালয়। সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এমনটাই জানিয়েছে কর্ণাটকের রাজীব গান্ধী ইউনিভার্সিটি অফ হেলথ অ্যান্ড সায়েন্স।

Advertisment

বিশ্ববিদ্যালয়ের কথায়, দেখা গিয়েছে, বেশ কিছু পরীক্ষার্থী উত্তরপত্রে লেখা শুরু করার আগে ‘ওম’, ধর্মের বাণী, বিভিন্ন রকম চিহ্ন, ভগবানের নাম ইত্যাদি লিখে রাখে। সম্প্রতি জারি হওয়া এই বিজ্ঞপ্তিতে এধরনের আচরণকে কার্যত কদাচার বলেই অভিহিত করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ডঃ এম কে রমেশ ১ অক্টোবর একটি সার্কুলার জারি করেন এবং তাতে ''ডোন্টস'' অর্থাৎ পরীক্ষার খাতায় ছাত্রছাত্রীরা কী করবে না, সেই তালিকায় আটটি নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। সেখানে প্রথমেই স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, পরীক্ষায় খাতায় কোনওভাবেই ভগবানের নাম লেখা যাবে না।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “০৩ নম্বর পাতায় ভগবানের নাম, ধর্মীয় চিহ্ন জাতীয় কোনও বাক্য বা শব্দ লেখা যাবে না। নিষেধাজ্ঞাগুলি পড়তে হবে।“ পাশাপাশি গোটা পাতা জুড়ে অপ্রয়োজনীয় বার্তা, চিহ্ন ইত্যাদিকে অসভ্য আচরণ বলেই গ্রাহ্য করা হবে।

Advertisment

ডেপুটি ডিরেক্টর সন্ধ্যা আভাধানি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের বক্তব্য অনুযায়ী, কিছু পরীক্ষার্থীরা পাশ করার জন্য পরীক্ষকের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে। এ প্রসঙ্গে আভাদানি আরও বলেন, ''কেউ কেউ হয়ত অজ্ঞতা বশত কাজটা করে থাকে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ইচ্ছে করেই এই সব অদ্ভুত চিহ্ন তারা খাতায় লিখে রাখে যাতে পরীক্ষকরা এটা মাথায় রেখে এই চিহ্নগুলোর মাধ্যমে পরীক্ষার্থীকে চিনতে পারেন এবং বেশি নম্বর দেন। এর মাধ্যমে আসলে একটা সংকেত দেওয়ার চেষ্টা করে এই সব পরীক্ষার্থীরা।"

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আধিকারিক জানান, এই নির্দেশ ইতিমধ্যেই জারি করা হয়েছে, এ ছাড়াও এই মর্মে পুনরায় একটি বিজ্ঞপ্তিও দেওয়া হয়েছে, যাতে ছাত্রছাত্রী, পরীক্ষক, কলেজ কর্তৃপক্ষ এই গোটা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হতে পারেন। আভাদানি জানান, প্রতি বছর যেহেতু নতুন ছাত্রছাত্রী যোগ দেয়, প্রতিবার নতুন করে একই কথা বলতে হয়।