চারিদিকে করোনা গ্রাস, মানুষের জীবন এমনিও সমস্যায় জর্জরিত। আর ঠিক তার মাঝেই নতুন নতুন সূচনা এবং শারীরিক অবক্ষয় নিয়েই চারিদিকে শোরগোল। নতুন উপসর্গ হোক কিংবা অভ্যন্তরীণ সমস্যা। এরই মাঝে জানা যাচ্ছে অতিরিক্ত স্ট্রেস যারা নিচ্ছেন তাদের মধ্যেও নাকি করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আদৌ এই বিষয়টির কোনও সত্যিকার আছে কি?
গবেষণার মাধ্যমে জানা গিয়েছে, যারা এইসময়ে অতিরিক্ত স্ট্রেস কিংবা মানসিক অবসাদ অথবা ডিপ্রেশনের মধ্যে দিয়েই যাচ্ছেন তাদের কাছে কিন্তু চারপাশের পরিবেশ বেশ ক্ষতিকারক, এমনকি করোনা আক্রান্ত হওয়ার সুযোগও বেশি। মনস্তত্ত্ব একটি জার্নালে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী এই বিষয়টিকে চিকিৎসকরা নতুন ভাবেই ধার্য করেছেন। তারা বলছেন, মানুষের মন থেকে খারাপ থাকাই কিন্তু তাদেরকে আরও মহামারীর কবলে ঠেলে দিচ্ছে।
যেসমস্ত ব্যক্তিদের মধ্যে করোনা উপসর্গ দেখা দিয়েছে তাদের বেশিরভাগ কিন্তু প্রথম দিকে মানসিক চাপ অনুভব করেছেন বিশেষ করে, মৃদু উপসর্গের জায়গায় তাদের মধ্যে ক্রনিক ভাব দেখা যাচ্ছে। অনেকেই এমনও রয়েছেন যাদের মধ্যে অক্সিজেনের মাত্রা হ্রাস পাচ্ছে।
কেন এমন হচ্ছে?
নিউজিল্যান্ড এবং লন্ডনের গবেষণাকারী বিজ্ঞানীদের মতে, বেশিরভাগ মানুষ এই সময় বাড়িতে আছেন ঠিকই তবে মানসিকভাবে তারা একেবারেই ঠিক নেই। তাদের মধ্যে সন্দেহ বাড়ছে, উদ্বেগ বাড়ছে আর ক্রমশই নিজের মধ্যে থাকা বিশ্বাস হারাচ্ছে। সবসময় তাদের মধ্যে এটিই কাজ করছে আশপাশের মানুষ সুস্থ কিনা, তারা রোগে আক্রান্ত কিনা ফলেই মানুষের মধ্যে সোশ্যাল ভাব একেবারেই কমে যাচ্ছে এবং ভয় সৃষ্টি হচ্ছে। অতিরিতকো সাবধানতা কিন্তু সমস্যায় ফেলতে পারে এবং এটি তারই একরূপ।
তারা আরও জানিয়েছেন প্রচুর মানুষ কর্মচ্যুত হয়েছেন। তাদের মধ্যে শারীরিক এবং মানসিক দুই ধরনের প্রভাব বেশি। কারণ অতিরিক্ত চিন্তা থেকেই হার্টের সমস্যা এবং বাড়ছে শারীরিক গোলমাল। হরমোনের তালগোল পাকিয়ে একেবারে নাজেহাল অবস্থা। সবকিছু কিন্তু পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত। সাইকোলজিকাল দিস্ট্রেস মানুষকে সাংঘাতিক ভাবে ভেঙে দিতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা আরও জানাচ্ছেন, সেল্ফ রিপোর্টেড কোভিড রোগীদের মধ্যে কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ মানসিক অবসাদে আক্রান্ত। ভাইরাল ইনফেকশন মানবদেহে কীভাবে ক্ষতি করতে পারে সেটি এখনও অজানা। বর্তমানে মৃদু উপসর্গ হলেও পরবর্তীতে চোরা রোগের আশঙ্কায় রয়েছেন তারা। অবশ্যই জনস্বাস্থ্য নীতির পরিবর্তন করা উচিত। মানুষকে মন থেকে সুস্থ এবং সাবধান থাকতে হবে, তবে যদি একটু হলেও সমস্যা সমাধান হয়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন