শারীরিক ওজন অত্যধিক কমে গেলে কিংবা সন্তান জন্মের পর কিংবা শরীরের অভ্যন্তরীণ গোলযোগ থেকে অনেক সময় এই স্ট্রেচ মার্কের মত সমস্যা গুলি যেন পার্মানেন্ট জায়গা করে নিতে পারে। এবং তখন দেখা যায়, কোনওভাবেই এটিকে কমানো সম্ভব হচ্ছে না। বিশেষ করে যাদের মধ্যে স্থূলতা বেশি ছিল তাদের ক্ষেত্রে হাতের নিচের অংশ তথা পেট এগুলিতে অত্যন্ত বেশি পরিমাণে দাগ পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
Advertisment
বিশেষজ্ঞ গুরভীন ওয়ারাইচ ধারণা দিয়েছেন এমন কিছু বিশেষ চিকিৎসা পদ্ধতির যেগুলি মাধ্যমে অবধারিত এই স্ট্রেচ মার্কের মত সমস্যা একেবারেই বিদায় নেবে। একটু খরচ সাপেক্ষ হতে পারে তবে যদি এক লহমায় রেহাই পাওয়া যায় তাহলে কিন্তু একেবারেই ক্ষতি নেই। যে পদ্ধতি গুলির কথা তিনি উল্লেখ করেছেন সেগুলি কী কী?
আলমা আইপিক্সেল লেসার : স্ট্রেচ মার্ক কম করতে লেসার সল্যুশন সবসময় বেশি ভাল। এবং এই আইপিক্সেল লেসার ট্রিটমেন্ট সাধারণ হিলিং প্রসেশকে ত্বরান্বিত করে, স্কিনে নতুন কলাগেন এবং এলাস্টিন ফাইবার তৈরি করে। এবং এই পদ্ধতির মাধ্যমেই পুরনো কুঁকড়ে যাওয়া চামড়া ও তার নিচে ডেড সেলস সরে যেতে থাকে ফলেই স্ট্রেচ মার্ক ক্রমশ কমতে থাকে।
এন্ডিমেড এমএনআরএফ : এমএনআরএফ ট্রিটমেন্ট সবথেকে বেশি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে স্কিনের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং একে পুনরায় সঠিকভাবে গঠন করতে। রিংকেল কমিয়ে দিতে পারে। স্কিনকে টাইট করে এমনকি যেকোনও রকমের দাগ হোক কিংবা স্ট্রেচ মার্ক কম করতে পারে।
পি আর পি : প্লেটলেট রিচ প্লাজমা থেরাপির মাধ্যমে সাধারণ লেসার পদ্ধতিতে প্লেটলেট থেকে স্কিনের সমস্যা দূর করা সম্ভব, নতুন স্কিনের লেয়ার যাতে সহজেই জায়গা করে নিতে পারে সেইদিকে নজর দেওয়া হয়। স্কিনের এলাস্টিন এবং ফ্রেশ কলোগেন নির্মাণে সহায়তা করে। ভেতর থেকে স্ট্রেচ মার্কের সমস্যা কম করে। যদি অত্যধিক মাত্রায় স্ট্রেচ মার্কসের কারণে আপনি মেজাজ হারাতে থাকেন তবে প্রয়োজন অনুসারে চিকিৎসকের থেকে জেনে নিন, তারপরেই ট্রিটমেন্ট করান।