মানুষ এখন ভীষণ শরীর সম্পর্কে সচেতন, তারা আর যাই করুন না করুন, ডায়েট নিয়ে কিন্তু ভীষণ সচেতন। খাবার খাওয়া নিয়ে হোক অথবা, শরীরচর্চায় নিজেদের ফিট রাখতে একেবারেই কার্পণ্য করে না। কিন্তু প্রতিদিনের জীবনে চিনি এবং নুন এই দুটির ভূমিকা ঠিক কেমন? আদৌ কী এই দুই - উপাদেয় বাদ দেওয়া প্রয়োজন?
চিনি এবং নুন ছাড়া মানুষের চলা দায়। এমনকি সুগারের রোগীদের ক্ষেত্রেও খুব সামান্য পরিমাণ চিনি বরদাস্ত করা হয়। নুন হল মিনারেলস অর্থাৎ শরীরের সোডিয়াম পটাসিয়াম ব্যালেন্স বজায় রাখে এবং চিনি হল, কার্ব - এর থেকে শরীরে এনার্জি এবং সারাদিনের কাজের এই অদ্ভুত শক্তি পাওয়া যায়। তবে দুটির ক্ষেত্রেই মাথায় রাখতে হয় বাধ্যবাধকতা। অতিরিক্ত মাত্রায় এই দুটির সেবনে কি ধরনের গোলমাল হতে পারে সেই সম্পর্কেই জানাচ্ছেন, শিবানী বাইজাল ( পুষ্টিবিদ )।
মানুষের এই বিষয়ে কতটা সতর্ক থাকা উচিত?
পুষ্টিবিদ বলেন, মানুষ নিজেই ভুলে যান কতটা কী খাওয়া উচিত। বিশেষ করে, চিনি এবং নুন সহজে ডায়েট থেকে বাদ দেওয়া যায় না, তার কারণ মানুষ বাইরের খাবার কিংবা প্যাকেটজাত খাবার খাওয়ার দিকে একেবারেই লাগাম রাখতে পারেন না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে সারাদিনে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের এক চামচ নুন খাওয়া উচিত।
দুই বছর থেকে ১৫ বছরের ছেলেমেয়েদের ততটাই প্রয়োজন যতটা তাদের শরীরে শক্তির দরকার। সারাদিনে যে পরিমাণ ক্যালোরি শরীরে দরকার ঠিক তার মধ্যে ৫ থেকে ১০% দরকার চিনি থেকে। এছাড়াও অত্যধিক ক্যালোরি এড়াতে কেক, পেস্ট্রি, চিপস জাতীয় খাবার কম খাওয়া উচিত।
কীভাবে নিজেকে কন্ট্রোল করবেন?
- খাবারের টেবিলে নুনের বোতল কিংবা পাত্র রাখা বন্ধ করুন।
- খাবার কেনার আগে তাতে কতটা পরিমাণ ক্যালরি এবং নুন রয়েছে সেটা দেখে নিন।
- চিপস এবং কেক খাওয়া কমান।
আরও পড়ুন < দই চিনি- শুধু অন্ধবিশ্বাস নয়, এটি শরীরের পক্ষেও বেশ ভাল >
- বাড়ির তৈরি খাবারে আয়ুর্বেদিক নুন ব্যবহার করুন।
- অ্যাডেড সুগার একেবারেই ভাল না। তাই খেয়াল রাখবেন কোল্ড ড্রিঙ্ক কিংবা বিভারেজেস একেবারেই বন্ধ করা দরকার।
- মিষ্টি খেতে ইচ্ছে হলেও ফল খান তবে ক্যালোরি ইনটেক করবেন না।
- অল্প পরিমাণে খাবার খান, বেশি খাবেন না।