Advertisment

চিনি আপনার শরীরের পক্ষে কতটা খারাপ?

চিনি অত্যধিক একেবারেই ভাল নয়, অন্তত সকালের শুরুতে চিনি কম খাওয়াই ভাল

author-image
IE Bangla Lifestyle Desk
New Update
NULL

প্রতীকী ছবি

কথায় বলে এখন মুখে মিষ্টতা থাকলেও খাবারের প্লেটে যতটা পারবেন কম মিষ্টি খেলেই ভাল। সারাদিনে অন্যান্য ভাবে মিষ্টি খেলেও, চিনি সরাসরি শরীরের পক্ষে খারাপ হতে পারে। আবার অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সবসময় রাসায়নিক ভাবে নির্মিত চিনি কিন্তু শরীরের পক্ষে সঠিক হতেও পারে।

Advertisment

চিনি একেবারে ডায়েট থেকে ঝেড়ে ফেলা কিন্তু খুব সমস্যার। এর পরিবর্তে জাগেরী কিংবা চুর্ন জাতীয় মিষ্টি কিন্তু বেশি কার্যকরী। সুগার দুই রকমের হতে পারে, ভাল সুগার এবং খারাপ সুগার। এই দুটির মধ্যে পার্থক্য এখানেই যে কোন মাত্রায় এবং কী পরিমাণে এটিকে গ্রহণ করা হবে। কারণ তার ওপর নির্ভর করেই শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা নির্ধারণ করা হয়।

এই দুই ধরনের সুগার কোন উৎস থেকে পাওয়া যায়?

মিষ্টির ভাল উৎস বলতে বোঝায় যেগুলি, পুষ্টিযুক্ত খাবার থেকে পাওয়া যায়, যেমন বেশ কিছু ধরনের ফল অর্থাৎ আম, লিচু, কলা, স্ট্রবেরি এছাড়াও বেশ কিছু সবজি যেমন ব্রোকলি ছাড়াও নানা ধরনের মিষ্টি রসালো সবজি।

বাদাম এবং নানা ধরনের আখরোট, আলমন্ড থেকেও ভাল ক্যালোরি পাওয়া যায়। অবশ্যই তার সঙ্গে যুক্ত থাকে সঠিক পরিমাণ ফ্যাট। ওটমিল এবং হোল গ্রেইন থেকেও এই জাতীয় ক্যালোরি যথেষ্ট পরিমাণে পাওয়া যায়।

খারাপ সুগারের মধ্যে সাধারণ এবং ব্রাউন সুগার যথেষ্ট পরিমাণে ক্যালোরি সরবরাহ করে। যেটির থেকে সহজেই মানুষের গ্লুকোজ লেভেল খারাপভাবে বাড়তে পারে। সুতরাং এর মাত্রা একেবারেই কমিয়ে দেওয়া উচিত। এছাড়াও কৃত্রিম উপায়ে নির্মিত মধু, পেস্ট্রি, আইস্ক্রিম থেকেও শরীরে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

দুটির প্রভাব কেমন :-

ভাল সুগারের কারণে রক্তে ব্লাড গ্লুকোজের মাত্রা খুব একটা বাড়ে না। কারণ এতে ফাইবার থাকে যার কারণে রক্তে এর প্রভাব অনেকটা কমে যায়। ফলে শরীর খারাপের কোনও লক্ষণ থাকে না।

খারাপ সুগারের ক্ষেত্রে, সেটি রক্তকোষে সহজেই শুষে যেতে পারে। সেই কারণেই গ্লুকোজ এবং ইনসুলিনের মাত্রা বাড়লেই যত বিপদ। সুতরাং যতটা সম্ভব এর মাত্রা কমিয়ে আনা উচিত। এতে ওজন বাড়তে পারে এবং টাইপ টু ডায়াবেটিসের মাত্রাও বাড়তে পারে।

health Human body blood sugar sugar
Advertisment